• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক ডাকসুর নেত্রীদের ‘গৃহদাসী’ মন্তব্য করে চাকরি হারালেন ব্র্যাক গবেষক ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকী’র পাশে তারেক রহমান ১৩ দিনে ১৬ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল আঙ্কারা মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের নবীনবরন অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী মানুষের পশুত্ব বর্জনই হোক সবার অঙ্গীকার : তারেক রহমান টানা ৪ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মচারীদের

ধান্দাবাজ-চান্দাবাজ সবই এনসিপির মধ্যে এসে মিশেছে : ডা. সায়ন্থ

নিজস্ব প্রতিবেদক    ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৫ পি.এম.
ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ। ছবি : সংগৃহীত

চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর হাত ধরেই এই দুর্নীতির চর্চা চলে আসছে—এমন মন্তব্য করেছেন চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে চাঁদাবাজি একটি পুরনো রোগ। এনসিপির মতো নতুন রাজনৈতিক দলও এই সংস্কৃতি থেকে মুক্ত নয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ডা. সায়ন্থ বলেন, –বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে কখনোই চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কতটা লাগাম টানা যাবে। এনসিপিকে ঘিরে আলোচনা বেশি হচ্ছে, কারণ তারা প্রথম থেকেই উচ্চ প্রত্যাশা তৈরি করেছিল। অন্যদের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় কথা বলেছে, তাই এখন নিজেরাই আঙুলের মুখে পড়ছে।

তিনি জানান, –এক ছোট ভাইকে পাঠানো হয়েছে চাঁদা তুলতে। ধরা পড়ার পর সেটা ‘ডোনেশন’ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রোল শুরু হয়েছে: বিএনপি করলে চাঁদাবাজি, এনসিপি করলে ডোনেশন, জামায়াত করলে হাদিয়া! কিন্তু হারাম তো হারামই—ভালো-খারাপ বলে আলাদা করা যায় না।

জাতিগত দুর্নীতিপ্রবণতা প্রসঙ্গে ডা. সায়ন্থ বলেন, –শেখ মুজিবুর রহমান পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলীয় এমপিদের বহিষ্কার করেছিলেন। তারপরও বাংলাদেশ আজও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।

এনসিপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, –তাদের মধ্যে বিএনপি, ছাত্রদল, শিবির, বামপন্থী ও নির্দলীয় অনেকেই এসে মিশেছে। ফলে ধান্দাবাজ-চাঁদাবাজদের অস্তিত্ব অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু সমস্যা হলো, এই অভিযোগ কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধেই। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ছোটখাটো বিচ্যুতি বললেও, মূল সমস্যা নেতৃত্বেই।

তিনি দাবি করেন, –চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও সেই নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা বহিষ্কার হয়নি। এই কারণেই ছাত্রসংগঠনের সারাদেশের ইউনিট স্থগিত করতে হয়েছে।

ডা. সায়ন্থ আরো অভিযোগ করেন, এনসিপির পাশাপাশি মামলা বাণিজ্যও চলছে। অনেককে বলা হয়েছে, টাকা না দিলে মামলায় নাম ঢোকানো হবে, আবার কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের চাঁদাবাজির অভিযোগ বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি—তিন দলকেই ঘিরে রয়েছে বলে জানান তিনি।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে: দুদু
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে: দুদু
এনসিপির কাঁধে ভর করে ফসল ঘরে তুলল জামায়াত
এনসিপির কাঁধে ভর করে ফসল ঘরে তুলল জামায়াত
৭ দাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচি দিয়েছে জাগপা
৭ দাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচি দিয়েছে জাগপা