কলকাতায় ‘বাংলাদেশি কলোনিতে’ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

পশ্চিমবঙ্গের নিউটাউনে ‘বাংলাদেশি কলোনি’ এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে; বিজেপি নেতা অমিত মালব্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আগুন লাগানোর দাবি করেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মুহূর্তের মধ্যে একের পর এক ঝুপড়ি ভস্মীভূত হয়। আগুনের সূত্রপাত এখনও অজানা।
‘বাংলাদেশি কলোনিতে’ এ অগ্নিকাণ্ড ঘিরে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই নাকি এই বস্তি খালি পড়েছিল। অভিযোগ ওঠে, বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে এসে ওই ঝুপড়িতে বসবাস শুরু করেছিলেন। তবে এসআইআর শুরু হর ইকো পার্কের কাছে ঘুনি বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটল।
পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই কলকাতার শহরতলিতে পরিত্যক্ত এবং খালি কুঁড়েঘরের দৃশ্য বারবার সামনে এসেছে। এটি একটি ওপেন সিক্রেট যে, বাংলাদেশ থেকে আসা বেশ কিছু লোক ঘুনি বস্তিতে বসতি স্থাপন করেছিলেন। যেখানে বুধবার এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অনেক বস্তিবাসী ইতোমধ্যেই তাদের ঘরবাড়ি তালাবদ্ধ করে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে চলে গেছেন, আর মাত্র কয়েকজন রয়ে গেছেন।
অন্যদিকে আগুনের তীব্রতা এবং ভয়াবহতা সত্ত্বেও দ্রুত দমকল বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি, যা গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। ওয়ার পর তারা নিজ নিজ ঘরে তালা দিয়ে চলে যান। যদিও বেশ কিছু ঘরে মানুষজন ছিলেন। অনেকেরই অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই সব বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
এর মধ্যে এবার অমিত মালব্য বললেন, অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নোটিশ দিতে চলেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। সেই নোটিশের শুনানি শুরু করার কয়েকদিন আগেই নিউ টাউনে এ ঘটনায় রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে এবং নাগরিকত্ব ও ভোটার আইডি সংক্রান্ত নিরাপত্তা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/জা






