• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

সাবেক পিপিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি    ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩০ পি.এম.

কোটি টাকা চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সাতক্ষীরা আদালতের সাবেক পিপিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিলাস মন্ডলের আদালতে জেলার দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আল ফেরদাউস আলফা মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-সিআর ১৭৪২/২৫। ধারা-৪৪৮/৩৬৪/৩২৩/৩০৭সহ অন্যান্য।

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন, সদর থানার সাবেক ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি মহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা আদালতের সাবেক পিপি আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে মো: রাসেল।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল চেকপোস্টে বাদীর দেড় কোটি টাকার ভারতীয় সামুদ্রিক মাছ জব্দ করে বিজিবি। পরে বাদীর বৈধ কাগজপত্র বিজিবির কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু বিজিবি কাগজপত্র যথাযথ বুঝতে না পেরে সেই মাছ সাতক্ষীরা সদর থানায় প্রেরণ করে। বৈধ কাগজ পাঠালেও মাছ ছাড়া হবে না এমন হুমকি দিয়ে সদর থানার তৎকালীন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ফোনে বাদীর কাছে দেড় কোটি টাকা দাবি করেন।

একপর্যায়ে বাদী ফোনের সুইস অফ করতে বাধ্য হন। সেদিন মধ্যরাতে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন ও ডিবির ওসি মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সাদা পোশাকধারী পুলিশ বাদীর পলাশপোলস্থ বাড়িতে যেয়ে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেসময় বাড়িতে থাকা ১৫ লাখ টাকা দিয়েও রক্ষা পাননি তিনি। বাদীর ভাই আব্দুল আলিম ও বাদীকে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে তুলে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায় পুলিশ। চাঁদা না দেওয়ায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মাছ আটকের ঘটনায় করা মামলায় তাদেরকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে পরস্পর যোগসাজশে জব্দকৃত দেড় কোটি টাকার মাছ মাত্র ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বিক্রি দেখিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করে আসামিরা।

মামলার বিবরণীতে আরও বলা হয়, মামলার জামিন করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাদীকে ৩৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করেন সাতক্ষীরা জজ আদালতের তৎকালীন পিপি আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে মো: রাসেল।

এবিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান বলেন, এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ২০২৬ সালের ২০ এপ্রিল। এছাড়া বিচারিক হাকিম মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ভিওডি বাংলা/আবদুল্লাহ আল মামুন/এম 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন জামায়াতের এমপি প্রার্থী
পাবনা-৩ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন জামায়াতের এমপি প্রার্থী
দিনব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণ, বেল্ট পরীক্ষা ও মোটিভেশন অনুষ্ঠান
রাজবাড়ী দিনব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণ, বেল্ট পরীক্ষা ও মোটিভেশন অনুষ্ঠান
চারঘাটের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর এখন বসবাসের অনুপোযোগী
রাজশাহী চারঘাটের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর এখন বসবাসের অনুপোযোগী