রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আবারও শুনানি ৪ নভেম্বর


দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিলের শুনানি গ্রহণ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আগামী ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম বিষয়ে রায় দেন আপিল বিভাগ। এর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর। ওই রায়ে বলা হয়-
১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, তাই রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচারকরা ২৪ নম্বর থেকে উন্নীত হয়ে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় (১৬ নম্বরে) অবস্থান করবেন।
৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচারকরা জেলা জজদের ঠিক পরেই ১৭ নম্বরে থাকবেন।
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে, নীতি নির্ধারণ বা প্রশাসনিক কাজে এটি ব্যবহার করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়, যা ২০০০ সালে সংশোধিত হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সংশোধিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেন।
ভিওডি বাংলা/জা