কুমারখালীতে চাচার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দেওয়ার অভিযোগ


কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আপন ছোট চাচা নফেল শেখের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে পৈতৃক সম্পত্তি দখল এবং মিথ্যা ও হয়রানিমমূলক মামলার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৭ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া গ্রামে নিজবাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভাতিজা মো. আবু বক্কর সেখ ও তার স্ত্রী সাথী পারভীন। বক্কর ওই গ্রামের মৃত ইব্রাহিম শেখের ছেলে এবং অভিযুক্ত চাচা নফেল উদ্দিন একই এলাকার মৃত মিছু শেখের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আবু বক্কর সেখ অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা ইব্রাহীম ও চাচা নফেলের নামে কালোয়া মৌজায় আর এস ১০৪০ দাগে এক একর ৭ শতাংশ এবং ১১০৩ দাগে ৩৫ শতাংশ জমি আছে। উক্ত জমির সমান ভাগ হিসেবে আমার বাবা ১০৪০ দাগে ৫৩ শতাংশ এবং ১১০৩ দাগে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ আছে। কিন্তু আমার চাচা প্রভাব খাটিয়ে সদরের ( সড়কের ধার থেকে) অংশে দখল করে পাকা দেওয়াল দিয়েছে। ভাগ বাটোয়ারা করেনা। প্রায় ৬ বছর আগে বাবা মারা গেছেন। তবুও পৈতৃক সম্পত্তি বুঝে না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ভাবে হত্যা ও জমিসংক্রান্ত ৩ টা মাংমলা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমি গরিব মানুষ। আমি পৈতৃক সম্পত্তি বুঝে পেতে চাই। এবং মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
বক্করের স্ত্রী সাথী পারভীন বলেন, ১০৪০ দাগে ৫৩ শতাংশ জমির মধ্য মাত্র ২৬ শতাংশ দিয়েছে। অন্য দাগে কিছুই দেয়নি। স্থানীয়ভাবে কাধিকবার বসাবসি হলেও জমি বুঝে দেয়না চাচা শ্বশুর। ২০২৩ সালে আদালতে জমি বুঝে পেতে মামলা করেছি। তবুও জমি পাইনি। দ্রুত প্রাপ্য জমি ফিরে পেতে চাই।
স্থানীয় মৃত কিতাব আলীর ছেলে বয়োজ্যেষ্ঠ আতিয়ার শেখ বলেন, নফেল উদ্দিন প্রভাবশালী। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে সেসময় পুলিশ ও মাস্তান ব্যবহার করে ভাতিজার জমি জায়গা সব দখল করে নিয়েছে। বহুবার সালিস হয়েছে। তবুও জমি বুঝে দেয়না। এখন ইটের দেওয়াল দিয়ে ঘিরে রেখেছে।
গ্রামের ইবাদত আলীর ছেলে আব্দুর রহিম শেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে চাচা ভাতিজার ঝামেলা চলছে। এলাকায় শান্তির জন্য তিনি দ্রুত সমস্যার সমাধানের দাবি জানান।
অভিযোগ অস্বীকার করে নফেল শেখ বলেন, আট বিঘা পৈতৃক সম্পত্তি ছিল। দুই ভাই ভাগ করে নিয়েছি চার বিঘা করে। আমার। অংশ ইটের দেওয়াল দিয়ে ঘেরাও। ভাইয়ের কিছু অংশ ভাই ও ভাতিজা বিক্রি করে দিয়ে মিথ্যা দোষারোপ করছেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ