ব্যক্তিগত পছন্দে একাধিক উপদেষ্টা নিয়োগ পেয়েছেন : আব্দুন নূর তুষার


ভিওডি বাংলা ডেস্ক:
জনপ্রিয় উপস্থাপক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং ইনফ্লুয়েন্সার আব্দুন নূর তুষার বলেছেন, ‘সরকার গঠন করার সময় যে উপদেষ্টামণ্ডলী তৈরি করা হয়েছিল, সেখানে ব্যক্তিগত পছন্দ এবং সম্পদের বিষয়টি গুরুত্ব পাওয়ায় একাধিক উপদেষ্টা নিয়োগ পেয়েছেন। যারা তাদের সেই দায়িত্বের জন্য যথার্থ পরিমাণে উপর্যুক্ত নয় বলে পরে প্রমাণিত হয়েছে।’ সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির এক বছরে আমরা কি পেলাম এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রাথমিক প্রত্যাশা ছিল গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন।
কেননা বহু বছর নির্বাচন হয় না। নির্বাচনবিহীন বলেই শেখ হাসিনা সরকার এত উদ্ধত এবং এত একনায়কতান্ত্রিক হতে পেরেছিল। কারণ জনগণের ভোট, জনগণের মতামতের কোনো প্রয়োজন তিনি উপলব্ধি করেননি। ভোট না হওয়ার কারণেই তিনি এ ধরনের স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছিলেন এবং তার সঙ্গের লোকজনের আচরণও স্বৈরাচারে চলে গিয়েছিল।
আমরা আশা করেছিলাম, খুব দ্রুত নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ আমরা পাব। সেটি কিন্তু আমরা পাইনি সত্যি কথা।
আব্দুন নূর তুষার আরো বলেন, বাকি যেসব প্রত্যাশার মধ্যে একটি বড় প্রত্যাশা ছিল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আসলে উন্নতি হয়নি, অবনতি হয়েছে।
ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে ট্রিপ গ্যাংয়ের মহড়া এবং কিছু কিছু জায়গায় প্রকাশ্যে অপরাধের যে প্রবণতা, সেটি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফেসবুকে, স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি প্রচুর পরিমাণে এসেছে, তাই আমি মনে করি যে এই জায়গাগুলোতে আমাদের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির তফাৎ রয়েছে। অর্থনীতি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অন্তত এখন ব্যাংক লুট হচ্ছে না বলে সবার ধারণা, তবে কিছু জায়গায় যে ব্যাংক লুট হচ্ছে এটি অস্বীকার করা যাবে না।
যে ছাত্রদের হাত ধরে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে, তাদের অনেকের নামে বিভিন্ন বিতর্ক তৈরি হয়েছে—এ প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যে ছাত্ররা দলটা তৈরি করেছেন, তাদের তো বাস্তব কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তারা আন্দোলন করেছেন, সংগ্রাম করেছেন; কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান চালানোর কোনো অভিজ্ঞতা তাদের নেই।
এদের অধিকাংশই কোনো দিন ইন্টার্নশিপও করেননি কোনো প্রতিষ্ঠানে। আপনি যদি এলজিইডি উপদেষ্টাকে দেখেন, তার যে বয়স, সেই বয়সে এলজিইডির মতো একটি মন্ত্রণালয় তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের কি মনে হয় না এই সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার মতো একটি সিদ্ধান্ত। শেখ হাসিনা এই রকম ব্যক্তিগত পছন্দে যাকে ভালো লাগত, বসিয়ে দিতেন।
এই উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যে এ রকম অনেক উপদেষ্টা আছেন, অন্তত একের বেশি। অন্তত পাঁচজন উপদেষ্টা আছেন, যারা উপদেষ্টা হওয়া তো দূরের কথা, চাকরির ইন্টারভিউ দিলে অনেক জায়গায় চাকরি পেতেন না। এ রকম যদি হয়, তাহলে তো আমার কাছে মনে হয় যে এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় তরুণদের হাতে ছেড়ে দিয়ে বসে থাকাটা যৌক্তিক কি না সেই বিষয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
ভিওডি বাংলা/এম
‘ভোটে যদি বিএনপি হারে’ আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত : রুমিন ফারহানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, …

জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, জুলাইয়ের বিপ্লবী …

জুলাই শুধু মুক্তির মাস না, হান্নান মাসউদের কপাল খোলার মাস : নির্ঝর
ভিওডি ডেস্ক
সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর বলেন, জুলাই শুধু বিপ্লবের না, …
