• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
চীফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক ডাকসুর নেত্রীদের ‘গৃহদাসী’ মন্তব্য করে চাকরি হারালেন ব্র্যাক গবেষক ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকী’র পাশে তারেক রহমান ১৩ দিনে ১৬ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল আঙ্কারা মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের নবীনবরন অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম

এবার আমিরাতের কাছে হারল বাংলাদেশ

   ২০ মে ২০২৫, ১০:৩৩ এ.এম.
ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক

বাংলাদেশ ইনিংস শেষে মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচের গল্প হয়তো আগেই লেখা হয়ে গেছে। ২০৫ রানের পাহাড় গড়ে যখন বাংলাদেশ ডাগআউটে ফিরে যায়, তখন খুব কম মানুষই ভাবতে পেরেছিল—শারজাহর রাতে সেই গল্পের শেষ পৃষ্ঠা আমিরাত লিখে দেবে। কিন্তু ক্রিকেট, যার শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয়, আবারও প্রমাণ করল নিজের নাটকীয়তা। আর নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচটি জিতে নিল স্বাগতিক আরব আমিরাত।

২০৬ রানের টার্গেটে আমিরাতের শুরুটাই ছিল তাণ্ডবের। অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম যেন নেমেছিলেন সব কিছু ওলট-পালট করে দিতে। মাত্র ৪২ বলে ৮২ রানের এক ধ্বংসাত্মক ইনিংসে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপকে ছিন্নভিন্ন করে দেন তিনি। পাওয়ারপ্লেতেই আসে ৬৮ রান—একেবারে ভিত্তিটাই গড়ে ফেলা। তার সঙ্গে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ জোহাইব। এই জুটি আমিরাতের রান তাড়ায় মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশ যদিও মাঝপথে ম্যাচে ফিরে এসেছিল। ওয়াসিম ফিরলে পরপরই ভাঙতে থাকে আমিরাতের ব্যাটিং। এক পর্যায়ে হিসাব দাঁড়ায়—৬ বলে ১২ রান। তানজিম হাসান সাকিবের প্রথম বলটি ওয়াইড—হিসাব হয় ৬ বলে ১১। এরপরের বলেই সিঙ্গেল, তারপর তৃতীয় বলে পরাশর মারেন ছক্কা—ম্যাচ হেলে পড়ে আমিরাতের দিকে।

কিন্তু নাটকের এখানেই শেষ নয়! পরের বলেই পরাশরকে বোল্ড করেন তানজিম। এরপর শেষ চার বলে লাগে মাত্র ৪ রান। পরপর এক রান, তারপর একটি নো বল, আর তার পরে হায়দার আলীর ২ রান—সব হিসেব মিলিয়ে নেয় আমিরাত। ১ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটে জয় তুলে নেয় তারা। পুরো ম্যাচ যেন এক রোমাঞ্চকর থ্রিলার!

বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন তানজিদ হাসান (৩৩ বলে ৫৯) ও তাওহিদ হৃদয় (২৪ বলে ৪৫)। লিটন দাস, শান্ত, জাকের—সবাই খেলেছেন কার্যকর ছোট ছোট ইনিংস। রানে ছিল হাত খরচের মত উইকেট পড়া, আর তাইই ২০৫/৫-এ থামে ইনিংস।

কিন্তু সব ছাপিয়ে গেছে শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশের বোলিং বিশৃঙ্খলায়। শরীফুলের ৪ রান অতিরিক্ত দিয়ে দেওয়া ওভার আর তানজিমের শেষ ওভারের পরিকল্পনাহীন বোলিং—সব মিলিয়ে ম্যাচটা হাত ফসকে যায়।

এই জয়ের ফলে দুই ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। তবে দুই বোর্ডের সম্মতিতে যোগ হওয়া তৃতীয় ম্যাচে সিরিজ নির্ধারণ হবে। আগামী পরশু, আবারও শারজাহতে, বাংলাদেশের সামনে থাকবে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ—আর আমিরাতের সামনে ইতিহাস গড়ার সুবর্ণ সুযোগ।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ ভারত-পাকিস্তান
বিসিবি নির্বাচনে লড়তে পদ ছাড়লেন আব্দুর রাজ্জাক
বিসিবি নির্বাচনে লড়তে পদ ছাড়লেন আব্দুর রাজ্জাক
বিসিবি নির্বাচনে ৬০ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
বিসিবি নির্বাচনে ৬০ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ