“বাংলাদেশ” নামের পরিবর্তন নয়
‘প্রজাতন্ত্র' শব্দের বদলে ‘জনকল্যাণ’ প্রস্তাব করা হয়েছে


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান শুক্রবার ১১ এপ্রিল এক বিবৃতিতে বলেছেন, গতকাল জাতীয় ঐক্যমত কমিশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সেখানে “বাংলাদেশ” নামের পরিবর্তন নয় বরং “প্রজাতন্ত্র” শব্দের বদলে “জনকল্যাণ” শব্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
দলের মুখপাত্র বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রস্তাবনায় দেশের বিদ্যমান সংবিধানিক নাম “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” এর প্রথম অংশ পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে। তারা গণপ্রজাতন্ত্রী শব্দের বদলে “জনগণতন্ত্রী” অথবা “নাগরিকতন্ত্র” শব্দের প্রস্তাব করেছে। রাষ্ট্রের সংবিধানিক নাম পরিবর্তনের এই প্রস্তাবের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একমত পোষণ করেছে। তবে “জনগণতন্ত্র” অথবা “নাগরিকতন্ত্র”এর বদলে “জনকল্যাণ” বা “পিপলস ওয়েলফেয়ার” শব্দের প্রস্তাব দিয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, এটা কোনভাবেই “বাংলাদেশ” নামের পরিবর্তন না বরং রাষ্ট্রের সংবিধানিক নামের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের প্রস্তাব। যা ইতোমধ্যেই সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাব দিয়েছে। ফলে ইসলামী আন্দোলন “বাংলাদেশ” নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে মর্মে যেভাবে সংবাদ শিরোনাম করা হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, রাষ্ট্রের সংবিধানিক নাম রাষ্ট্রের চরিত্র বহন করে। যেমন সৌদি আরবের সংবিধানিক নাম কিংডম অফ সৌদি আরাবিয়া, বৃটেনের সাংবিধানিক নাম ইউনাইটেড কিংডম অফ গ্রেট ব্রিটেন, ভারতের সংবিধানের নাম রিপাবলিক অফ ইন্ডিয়া, পাকিস্তানি সংবিধানের নাম ইসলামিক রিপাবলিক অফ পাকিস্তান। এই সাংবিধানিক নাম দেশগুলোর সাংবিধানিক নীতি ও চরিত্রকে প্রকাশ করে।
বাংলাদেশের সংবিধানিক নাম “পিপলস রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ”। যার বাংলা করা হয়, “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” বলে। এখানে রিপাবলিক বা প্রজাতন্ত্র শব্দ নিয়ে অসন্তুষ্টি ছিল। কারণ এতে করে নাগরিকদের প্রজা সাব্যস্ত করা হচ্ছে। যা নাগরিকদের মর্যাদা ও রাষ্ট্রের সাথে তার সম্পর্ককে হীন করে উপস্থাপন করে। সেই প্রেক্ষিতে সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রজাতন্ত্রের বদলে জনগণতন্ত্র অথবা নাগরিকতন্ত্র শব্দের প্রস্তাব করেছে।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও প্রজাতন্ত্র শব্দকে সমস্যাজনক মনে করে। তবে এর বিকল্প হিসেবে জনগণতন্ত্র বা নাগরিকতন্ত্র শব্দকে যথার্থ মনে করে না। বরং তার বদলে রাষ্ট্রের যে চূড়ান্ত লক্ষ্য “জনকল্যাণ” তাকেই রাষ্ট্রের নামের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিকল্প শব্দ প্রস্তাব করেছে। কারণ আমরা মনে করি “তন্ত্র” কি হবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা। তাই রাষ্ট্রীয় সংবিধানিক নামের মধ্যেই জনকল্যাণ যুক্ত হলে রাষ্ট্রের চূড়ান্ত লক্ষ্য বাস্তবায়ন সর্বদা সকলের মনে জাগ্রত থাকবে।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলন তার প্রস্তাবনায় ভবিতব্য স্বৈরতন্ত্র রোধে দেয় প্রস্তাবের সাথে একমত পোষণ করেছে এবং বেশকিছু নতুন ও কার্যকর প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিৎ। কারণ তাতেই আগামীর বাংলাদেশের পথ সুগম হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে দ্বিধা কেটে যাবে: মির্জা ফখরুল
রাষ্ট্র সংস্কারের মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যকে ‘ইতিবাচক’ বলে মন্তব্য …

জুলাই সনদ একটি ঐতিহাসিক অঙ্গীকারনামা : সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই সনদ আসলে …

এনসিপির জুলাই পদযাত্রা সমাপ্ত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি সমাপ্ত …
