• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
চীফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক ডাকসুর নেত্রীদের ‘গৃহদাসী’ মন্তব্য করে চাকরি হারালেন ব্র্যাক গবেষক ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকী’র পাশে তারেক রহমান ১৩ দিনে ১৬ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল আঙ্কারা মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের নবীনবরন অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম

যায়যায়দিন দখলমুক্ত ও ডিক্লারেশন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি

   ১২ মার্চ ২০২৫, ০৬:০১ পি.এম.

নিজস্ব প্রতিবেদক
সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল প্রধান কার্যালয় দখল এবং ঠুনকো অজুহাতে পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে যায়যায়দিন কর্তৃপক্ষ।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ এ অভিযোগ তুলেন। তিনি অবিলম্বে যায়যায়দিন অবৈধ দখলমুক্ত এবং পত্রিকার ডিক্লারেশন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

তিনি বলেন, প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে সামনে রেখে একটি চক্র সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর দৈনিক যায়যায়দিনের প্রধান কার্যালয় দখল করে। তারা সেখান থেকে অবৈধভাবে দৈনিক যায়যায়দিনের মূল লোগোর সঙ্গে হুবহু মিল রেখে ‘দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিদিন’ নামের একটি পত্রিকা প্রকাশ করছে; যা আইনগতভাবে অবৈধ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৭ সালে আর্থিক সংকটে পড়ে শফিক রেহমান দৈনিক যায়যায়দিন পাবলিকেসন্স-এর শেয়ার এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীর কাছে বিক্রি করেন। ২০০৭ সালের ২৩ মার্চ ফরম-১১৭ এর মাধ্যমে শফিক রেহমান, তার স্ত্রী তালেয়া রহমান এবং ছেলে সুমিত রহমান তাদের যায়যায়দিন পাবলিকেসন্সের সব শেয়ার সাঈদ হোসেন চৌধুরী ও আবুল হাসান মো. আল ফারুক বরবার হস্তান্তর করেন। এর দুইদিন পর অর্থাৎ ২৫ মার্চ ২০০৭ তারিখ শফিক রেহমান ও তালেয়া রেহমান ফরম-১১৭ এর মাধ্যমে তাঁদের যায়যায়দিন প্রিন্টার্সের শেয়ার এইচআরসি মিডিয়া লিমিটেড এবং এইচআরসি বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে হস্তান্তর করেন।

শেয়ার হস্তান্তরসহ সব প্রক্রিয়া শেষে শফিক রেহমান ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই অতিরিক্ত ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উপস্থিত হয়ে যায়যায়দিনের প্রকাশকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উপস্থিত হয়ে আবুল হাসান মো. আল-ফারুক যায়যায়দিনের প্রকাশকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২০১১ সালের ৯ জুন পত্রিকার প্রকাশকের পদত্যাগের ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে প্রকাশকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদ হোসেন চৌধুরী যায়যায়দিনের প্রকাশক ও মুদ্রাকরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই সময় থেকে সাঈদ হোসেন চৌধুরী দৈনিক যায়যায়দিনের প্রকাশক ও মুদ্রাকর হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, শফিক রেহমান ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রকাশকের দায়িত্বভার থেকে পদত্যাগ করলেও ২০০৮ সালের ৬ মে পর্যন্ত বেতনভুক্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে তিনি স্বেচ্ছায় সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ৬ মে ২০০৮ ইং তারিখের যায়যায়দিন ও সমকালসহ একাধিক জাতীয় দৈনিকেও এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ পায়। 

শফিক রেহমান পদত্যাগ করার পর শহীদুল হক খান এবং পরে বরুণ শংকর দৈনিক যায়যায়দিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে ২০০৮ সালের ২৩ নভেম্বর কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ যায়যায়দিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। উল্লেখিত সময় থেকে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকাটি দখল করে নিতে বেশকিছু দুস্কৃতিকারী পত্রিকার প্রধান কার্যালয় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এইচআরসি মিডিয়া ভবনে কয়েক দফা হামলা চালায়। এ ব্যাপারে গত ২৪ অক্টোবর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর সাংবাদিক শফিক রেহমানকে সামনে রেখে ওই চক্র সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের দৈনিক যায়যায়দিনের প্রধান কার্যালয় দখল করে নেয়।

এদিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল যায়যায়দিন কার্যালয় ও প্রেস বেদখল হওয়ার পর বিধি মোতাবেক ডিসি অফিসকে অবহিত করে অন্য প্রেস থেকে যায়যায়দিন পত্রিকা ছাপানোর ব্যবস্থা করা হয়। পর পর দু’টি প্রেস পরিবর্তনের বিষয়টিও যথারীতি ডিসি অফিসকে জানানো হয়। কিন্তু ডিসি অফিস শফিক রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঠুনকো অজুহাতে ১০ ফেব্রুয়ারি যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করে। অথচ এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি সাঈদ হোসেন চৌধুরীর এক রীট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সবকিছুই সাঈদ হোসেন চৌধুরীর পক্ষে থাকবে বলে তিন মাসের দেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এজিএম (প্রশাসন) গোলাম ফারুক আলম, সিনিয়র ম্যানেজার নূরুল হক ও ডেপুটি ম্যানেজার (প্রশাসন) ইকবাল হোসেন।

ভিওডি বাংলা/  এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাংবাদিক নীতিমালা পর্যালোচনার আশ্বাস ইসির
সাংবাদিক নীতিমালা পর্যালোচনার আশ্বাস ইসির
ডিআরইউতে মবের চেষ্টা ও আ’লীগ আমলের আইন নিয়ে উদ্বেগ
ডিআরইউতে মবের চেষ্টা ও আ’লীগ আমলের আইন নিয়ে উদ্বেগ
জাঁকজমক আয়োজনে ভিওডি বাংলা’র প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপিত
জাঁকজমক আয়োজনে ভিওডি বাংলা’র প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপিত