মেসির কলকাতা সফর নিয়ে বিতর্ক, আইনি পথে সৌরভ গাঙ্গুলি

আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি, রদ্রিগো ডি পল এবং সাবেক উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজের সাম্প্রতিক ভারত সফর ঘিরে শুরুতেই ছড়িয়ে পড়ে অব্যবস্থাপনার খবর। তিনদিনের এই সফরের প্রথম ধাপে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে দেখতে না পেয়ে দর্শকদের তুমুল হট্টগোল ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। এই বিশৃঙ্খলার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এবং অভিযোগের আঙুল ওঠে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির দিকেও।
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া’র অংশ হিসেবে কলকাতা হয়ে হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি ও গুজরাট সফর করেন মেসি-সুয়ারেজরা। কলকাতা ছাড়া সফরের বাকি অংশ নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়। তবে কলকাতায় মেসির দেখা না পাওয়ায় দর্শকদের ক্ষোভ ও ভাঙচুরের জন্য আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন অনেকে।
এর মধ্যেই কলকাতাভিত্তিক এক আর্জেন্টাইন সমর্থক ক্লাবের সভাপতি উত্তম সাহা দাবি করেন, সফরের ব্যবস্থাপনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। উল্লেখ্য, মেসির ভারত সফরের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন শতদ্রু দত্ত, যাকে বিশৃঙ্খলার দিনই (১২ ডিসেম্বর) কলকাতা বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। উত্তম সাহার দাবি, শতদ্রু দত্তের সঙ্গে ব্যবস্থাপনার কাজে মধ্যস্থতা করেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি।
এ অভিযোগকে মানহানিকর আখ্যা দিয়ে উত্তম সাহার বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি তার বিরুদ্ধে ৫০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করে আইনি নোটিস পাঠান এবং পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, “পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি ফুটবল ফ্যান ক্লাবটিকে ৫০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। কারণ তারা কোনো প্রমাণ ছাড়াই যা খুশি তাই বলে দিয়েছে।”
বর্তমানে বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে কোনো বাস্তব ভিত্তি ছাড়াই গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে, যা তার দীর্ঘদিনের অর্জিত সম্মান ও মানসিক শান্তিতে আঘাত হেনেছে। তিনি কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযোগে বলা হয়েছে—ইচ্ছাকৃতভাবে ভিত্তিহীন ও গুরুতর অভিযোগ এনে সৌরভ গাঙ্গুলির সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় লালবাজার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
সৌরভ গাঙ্গুলি স্পষ্ট করে জানান, ১৩ ডিসেম্বর তিনি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে একজন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মেসির অনুষ্ঠানের সঙ্গে তার কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পৃক্ততা ছিল না।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ







