নেপালে তুষারঝড়-ধসে ৯ পর্বতারোহীর মৃত্যু

নেপালের দুর্গম হিমালয় পর্বতমালায় কয়েক দিনের তীব্র তুষারঝড় ও তুষারধসে অন্তত ৯ জন পর্বতারোহী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন ইতালীয়।
প্রথম দুর্ঘটনায়, চীনের সীমান্তবর্তী ১৮,৪৭১ ফুট উচ্চতার ইয়ালুং রি পর্বতের বেস ক্যাম্পে ১২ জনের একটি দল তুষারধসের কবলে পড়ে। দুর্ঘটনায় তিন ইতালীয়, দুই নেপালি, একজন জার্মান ও একজন ফরাসি পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়। বাকি চার সদস্যকে উদ্ধার করে কাঠমান্ডুতে নেওয়া হয়েছে।
নেপালের ড্রিমার্স ডেস্টিনেশন নামের একটি অভিযাত্রী সংস্থার প্রতিনিধি ফুরবা তেনজিং শেরপা বলেন, ওই দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ইতালীয়, দুজন নেপালি, একজন জার্মান ও একজন ফরাসি পর্বতারোহী।
ফুরবা তেনজিং শেরপা বলেন, তিনি সাতজনের মরদেহই দেখেছেন। দলের বাকি সদস্যদের মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার করে রাজধানী কাঠমান্ডুতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোলাখা জেলার জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জ্ঞান কুমার মাহাতো। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দু’জন ফরাসি ও দু’জন নেপালি পর্বতারোহী।
এর আগে, পশ্চিম নেপালে ২২ হাজার ৫৯৫ ফুট উচ্চতার পানবারি পর্বতের চূড়ায় আরোহণের চেষ্টার সময় দুই ইতালীয় পর্বতারোহীর প্রাণহানি ঘটে। শুক্রবার থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। মঙ্গলবার ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নেপালে পর্বত চূড়ায় আরোহণের সময় নিহত দুই নাগরিকের পরিচয় প্রকাশ করেছে। তারা হলেন আলেসান্দ্রো কাপুতো ও স্তেফানো ফাররোনাতো।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ সকালে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাচার মিটার উচ্চতায় তীব্র তুষারপাতের মধ্যে আটকা পড়েছিলেন।
এর আগে, পশ্চিম নেপালের ২২,৫৯৫ ফুট উচ্চতার পানবারি পর্বতের চূড়ায় আরোহণের সময় দুই ইতালীয় পর্বতারোহী আলেসান্দ্রো কাপুতো ও স্তেফানো ফাররোনাতো নিহত হন। শুক্রবার থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল এবং মঙ্গলবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।
নেপালে বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ পর্বতের মধ্যে আটটি রয়েছে, যার মধ্যে মাউন্ট এভারেস্টও অন্তর্ভুক্ত। প্রতি বছর শত শত পর্বতারোহী ও পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণ করেন। শরৎকাল হিমালয় অভিযানের জন্য বসন্তের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় মৌসুম হলেও দিনের ছোট অবস্থা ও ঠান্ডা আবহাওয়া বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
ভিওডি বাংলা/জা







