• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক ডাকসুর নেত্রীদের ‘গৃহদাসী’ মন্তব্য করে চাকরি হারালেন ব্র্যাক গবেষক ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকী’র পাশে তারেক রহমান ১৩ দিনে ১৬ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল আঙ্কারা মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের নবীনবরন অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী মানুষের পশুত্ব বর্জনই হোক সবার অঙ্গীকার : তারেক রহমান টানা ৪ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মচারীদের

সেতু না বানিয়েই ৩৪৩ কোটি টাকা নাই

পিরোজপুর প্রতিনিধি    ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৬ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ব্রিজ–সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ভয়াবহ দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কাগজে-কলমে দেখানো হয়েছে অগ্রগতি, কিন্তু বাস্তবে কোনো সেতু নেই।

নদমূল্লা ইউনিয়নের নদমূল্লা মাদরাসা হাট–চিংগুড়িয়া–কলোনি বাজার সড়কে ৩০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ৩.৭১ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা পেয়েও সেতুটি নির্মাণ করেনি।

এই কাজ পেয়েছিল সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলামের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। তিনি সাবেক এমপি মহিউদ্দিন মহারাজের ভাই। একই সড়কের আরেকটি ৩০ মিটার সেতুর কাজ পান মহারাজের আরেক ভাই সালাউদ্দিনের প্রতিষ্ঠান। সেতুটি আজও হয়নি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমইডির পরিদর্শনে শুধু এই দুই সেতুই নয়, আরও দুটি সেতুর অস্তিত্ব মেলেনি। অথচ কাগজে দেখানো হয়েছে ৯০–১০০ শতাংশ অগ্রগতি এবং কোটি কোটি টাকার বিলও পরিশোধ হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো কাজ না করেই তিন প্রকল্পের ১৩৭টি প্যাকেজ থেকে ৩৪৩ কোটি টাকার বেশি তুলে নেওয়া হয়েছে।

সরকারি নথি অনুযায়ী, ভান্ডারিয়ায় বরাদ্দ পাওয়া প্রায় সব স্কিম পেয়েছে মহিউদ্দিন মহারাজের পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো। কাজের অগ্রগতি শূন্য থাকলেও কাগজে ৯০–১০০ শতাংশ দেখিয়ে ঠিকাদারদের বিল দেওয়া হয়েছে। একাই আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের ৯৩টি প্যাকেজে কাজ হয়নি, তবু বিল দেওয়া হয়েছে ২০৫ কোটি টাকার বেশি।

আইএমইডি বলছে, এসব অনিয়মে এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক, জেলা এলজিইডি অফিস ও হিসাবরক্ষণ অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত। এলজিইডির সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার ও হিসাবরক্ষক মোজাম্মেল হক সরাসরি এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মোজাম্মেল হক দুর্নীতির মামলায় কারাগারে থাকাকালেই মারা গেছেন, আর সাত্তার আত্মগোপনে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অতিরিক্ত বরাদ্দ, কাজের আগ্রগতি ছাড়াই অর্থ ছাড় এবং প্রকল্প পরিচালকের নজরদারির অভাবেই এই দুর্নীতি সম্ভব হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ও আত্মসাৎ করা অর্থ উদ্ধারের সুপারিশ করেছে আইএমইডি।

স্থানীয়রা জানান, এলাকার উন্নয়ন হয়নি, বরং জনদুর্ভোগ বেড়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলজিইডির কর্মকর্তারা বলেছেন, মহিউদ্দিন মহারাজ ও তার ভাইদের প্রভাবের কারণে তারা কিছুই করতে পারেননি। এখন আবার আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে দুর্নীতির মামলায় ফাঁসানোর।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ


  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কেন্দুয়া কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদের অভিযোগ
কেন্দুয়া কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদের অভিযোগ
নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
সারিয়াকান্দি ডিগ্রী পরীক্ষার ইংরেজি খাতা হারানোর দেড় ঘন্টা পরে উদ্ধার
সারিয়াকান্দি ডিগ্রী পরীক্ষার ইংরেজি খাতা হারানোর দেড় ঘন্টা পরে উদ্ধার