আমি যতদিন আছি, তাইওয়ান দখল করবে না চীন- ট্রাম্প


গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করে চীন। তাদের রাষ্ট্রীয় নীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মূল চীনা ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানের একীভূতকরণ। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রয়োজনে সামরিক কায়দায় গায়ের জোর প্রয়োগ করতেও প্রস্তুত বেইজিং।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকায় চীন এখন পর্যন্ত তাইওয়ান দখল করতে পারেনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি আমাকে বলেছেন, আপনি যখন ক্ষমতায় থাকবেন, আমি তাইওয়ানে হামলা করব না। আমি তখন তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম।" তিনি আরও যোগ করেন, "মনে রাখবেন, আমার ধৈর্য অনেক এবং চীনও যথেষ্ট ধৈর্যশীল।’
এর আগে এক ভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি না থাকলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের পুরো অংশ দখল করে ফেলত। তিনি বলেন, চীনের ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর গত জুনে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম নিশ্চিত ফোনালাপের খবর পাওয়া গেছে। ট্রাম্পের ভাষ্য, "চীন ও তাইওয়ান নিয়ে আমরা প্রায় একই অবস্থানে আছি। আমি যতদিন আছি, মনে হয় না বেইজিং তাইওয়ানে হামলা চালাবে।"
তাইওয়ানের অন্যতম আন্তর্জাতিক সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী হলেও, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি, যা বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এদিকে, গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, ‘চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল ইস্যু হলো তাইওয়ান। হোয়াইট হাউজের উচিত এক-চীন নীতি এবং বেইজিং-ওয়াশিংটন তিনটি যৌথ বিবৃতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকা। তাইওয়ান সংক্রান্ত বিষয়গুলো সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করা এবং দুই দেশের সম্পর্ক ও তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা’
ভিওডি বাংলা/জা