ঘণ্টায় ২৬০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে হ্যারিকেন অ্যারিন


মহাশক্তিশালী ক্যাটাগরি-৫ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে হ্যারিকেন অ্যারিন। ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার (১৬০ মাইল) বেগে ধেয়ে আসা এই ঝড়টি ইতোমধ্যে দ্রুত শক্তি অর্জন করেছে এবং আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, বর্তমানে অ্যারিন ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থান করছে। চলতি সপ্তাহান্তে এটি লিওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ, ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ এবং পুয়ের্তো রিকোর উত্তরাঞ্চল অতিক্রম করবে। এতে ১৫ সেন্টিমিটার (৬ ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে, যা আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টারের পরিচালক মাইক ব্রেনান জানান, মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ঝড়টি ঘনিভূত হয়ে “অত্যন্ত শক্তিশালী” রূপ নিয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এটি একটি ট্রপিক্যাল স্টর্ম ছিল, কিন্তু শনিবার ভোরে এর বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১০০ মাইল থেকে বেড়ে ১৬০ মাইল (২৬০ কিমি) হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে অ্যারিন ধীরে ধীরে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বাহামার পূর্ব দিক ঘেঁষে উত্তর ক্যারোলিনার আউটার ব্যাংকসের দিকে যেতে পারে।
এই ঝড় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় পুরো পূর্ব উপকূলে প্রাণঘাতী ঢেউ ও রিপ কারেন্ট সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে হ্যারিকেন সেন্টার। এর মধ্যে ফ্লোরিডা ও মিড-অ্যাটলান্টিক উপকূল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবে। বারমুডাতেও ভারী বৃষ্টিপাত ও বিপজ্জনক ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে প্রবল বাতাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ড ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের সেন্ট থমাস ও সেন্ট জন, এবং পুয়ের্তো রিকোর ছয়টি পৌরসভায় বন্দরগুলোতে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এটি ২০২৫ সালের আটলান্টিক মৌসুমের প্রথম হ্যারিকেন। যদিও আপাতত এটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানবে না বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
মার্কিন জাতীয় মহাসাগর ও বায়ুমণ্ডল প্রশাসন (NOAA) জানিয়েছে, এ বছর আটলান্টিকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হ্যারিকেনের আশঙ্কা রয়েছে। সংস্থাটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্যাটাগরি-৪ ও ৫ মাত্রার ঝড়ের সংখ্যা বাড়ছে।
ভিওডি বাংলা/জা