সচিবালয়ে আজও কর্মচারীদের বিক্ষোভ


নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রত্যাহারের দাবিতে আজ বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সচিবালয় নিরাপত্তা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যে সোমবার অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এর ফলে চার ধরনের অপরাধের দায়ে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু নোটিশ দিয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গকারী কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার। শুরু থেকেই এই আইনের বিরোধিতা করে আসছেন সরকারি কর্মচারীরা। তবে তাদের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই রোববার রাতে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়।
অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সোমবার বেলা সোয়া ১১টার পর সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মচারীরা। পরে মিছিল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তর ঘেরাও করতে যান তারা। একপর্যায়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভবনের সামনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থানের ঘোষণা দেন তারা। পরে সেখান থেকে সরে এসে সচিবালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সচিবালয়ের সব ফটক বন্ধ করে দেন কর্মচারীরা, যা আধা ঘণ্টা পর খুলে দেওয়া হয়।
এদিকে সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনকে নিয়ে গতকাল ‘ঐক্য ফোরাম’ নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে ঐক্য ফোরামের নেতারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর বলেন, “এই কর্মসূচি চলবে যতক্ষণ না এই কালো আইন বা অধ্যাদেশ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদ এগিয়ে না এলে এই আন্দোলন সারা দেশের ১৮ লাখ কর্মচারীর মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।”
তিনি আরও জানান, অধ্যাদেশ বাতিল হলেই চলমান কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে বাদামতলায় সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাদিউল আরও বলেন, সোমবার আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় তা হয়নি।
ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের আরেক অংশের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম জানান, সারা দেশের সরকারি কর্মচারীরা তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশে কর্মচারী নেতারা অভিযোগ করেন, আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেক কর্মচারীকে বিভিন্ন সচিব ডেকে নিয়ে হুমকি দিয়েছেন।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ার বিষয়ে যা জানালেন ড. ইউনূস
ডেস্ক রিপোর্ট
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস …

বিএনপিসহ ৩০ দলের সঙ্গে ফের সংলাপ করবে ঐকমত্য কমিশন
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা এবং …

পুলিশের ৪ অতিরিক্ত ডিআইজিকে বদলি
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত চারজন উপমহাপুলিশ পরিদর্শককে (ডিআইজি) বদলি করেছে …
