ফেসবুকে মাদকবিরোধী পোস্ট, কলেজছাত্রীর ঘরে আগুন


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ শহরতলী ওয়েজখালীর বিপরীতে লক্ষণশ্রী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা এক কলেজছাত্রীর ফেসবুকে মাদকবিরোধী পোস্ট দেওয়ার জেরে তার ঘরে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ উঠেছে। আগুনে ঘরের একাংশ পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় আতঙ্কে আছেন ওই ছাত্রীর পরিবার।
গতকাল সোমবার রাত প্রায় ৩টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ।
ভুক্তভোগী সাজমিন আক্তার সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার পিতা শফিক মিয়া সনামগঞ্জ শহরের ওয়েজখালীর একটি কাপড়ের দোকানে কর্মচারী।
ওই ছাত্রীর পরিবারের দাবি, প্রতিদিনের মতো তারা রাত ১১টায় খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত প্রায় ৩টার দিকে হঠাৎ করে তারা দেখতে পান তাদের ঘরে আগুন জ্বলছে। চিৎকার শুনে গ্রামের বিলাল হোসেন, সফিকুল ইসলাম, সাহেল আহমদসহ আরও কয়েকজন এগিয়ে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে ঘরের বাইরের অংশসহ টিন ও মালামাল পুড়ে যায়।
এদিকে কলেজ ছাত্রীর পরিবারের দাবি, রাতের অন্ধকারে ডিজেল বা পেট্রোল জাতীয় কোনো দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সাজমিন আক্তার বলেন, ‘গ্রামের মাদকসেবীদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট। ফেসবুক গ্রুপ “সুনামগঞ্জ হেল্পলাইন”-এ গ্রামের মাদকসেবীদের নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। এরপর থেকেই নানাভাবে বিরক্ত করছে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে একই গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান। সে এলাকায় মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার ভয়ে কেউ কথা বলতে চায় না। আমাদের ধারণা, মেহেদী হাসান আমাদের ঘরে আগুন দিতে পারে। আমাদের ভয় করে। বাবা রাতে দেরিতে বাড়ি ফেরেন। যদি তাকেও কিছু করে ফেলে।’
সাজমিনের বাবা শফিক মিয়া বলেন,‘মেহেদী গতকাল বিকেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গ্রামের একদিক থেকে অন্যদিকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছে ও মানুষকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমরা ভয়ে কিছু বলতে চাই না। কয়েক দিন আগে সুনামগঞ্জ শহরে মাদকসেবীকে প্রতিবাদ করতে গিয়ে একজন খুন হয়েছে।’
অভিযুক্ত মেহেদী হাসানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। দুপুরে বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বোন ফারজানা জান্নাত বলেন, ‘এদের (সাজমিন) সঙ্গে গতকাল আমাদের ঝামেলা হয়েছে। আমার ভাই তাদের বাড়িতে আগুন লাগায়নি। আগুন লাগানোর ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না।’
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন,‘ আমি সুনামগঞ্জের বাইরে আছি। খবর পেয়ে ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিরোধকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
আ.লীগ নেতার মাল্টা ও সুপারি গাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা
মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরা সদরের জগদল ইউনিয়নে রাতের আঁধারে মো. জাহাঙ্গীর …

কুমিল্লায় করোনা শনাক্তের হার ছাড়াল ৩০ শতাংশ
কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় চারজনের শরীরে করোনা …

শ্রীপুরে গ্রেপ্তার ৪৩ শ্রমিক কারাগারে
গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে ডিজাইন টেক্স নিটওয়্যার কারখানায় হামলা, ভাঙচুর …
