পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার আহ্বান বিশিষ্টজনদের


নিজস্ব প্রতিবেদক
শক্তি নয়, নৈতিকতা বড় অস্ত্র, এই প্রতিশ্রুতিতে এগিয়ে যাওয়ার পথে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মতে, রাষ্ট্র ও পুলিশের সাথে জনগণের যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে তা দূর করে জনগণের আস্থা ফেরাতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে, করতে হবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত। তাহলে পুলিশ জনতার পুলিশ হয়ে উঠবে বলেও মত দেন বিশিষ্টজনরা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ এর শেষ দিনে ‘নাগরিক ভাবনায় পুলিশ’ সেশনে এসব মত দেন তারা।
বক্তারা বলেন, পুলিশকে বানানোই হয়েছিলো রাষ্ট্রীয় বাহিনী হিসেবে। যে কারণে পুলিশ কখনও জনতার পুলিশ হতে পারেনি। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশের অপব্যবহার হয়েছে। ব্যবহার হয়েছে রাজনৈতিক প্রয়োজনে বিরোধী মত দমনে। এসব কারণে জনগণ পুলিশের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।
তারা আরও বলেন, পুলিশকে জনতার পুলিশে পরিণত করতে হলে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার বিকল্প নেই।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষাবিদ ড. সলিমুল্লাহ খান, নিউ এইজ সম্পাদক নূরুল কবীর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক পুলিশ প্রধানরা বলেন, পুলিশকে স্বাধীনতা দেয়া হলেও ব্যক্তি স্বার্থে দালালি করেছে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে জনতার পুলিশ হওয়ার লড়াই পুলিশকেই চালিয়ে যেতে হবে।
এদিকে লেখক ও অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, আমাদের বুকে হাত দিয়ে স্বীকার করতে হবে, পুলিশের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। পুলিশের যে পজিশনে থাকার কথা ছিল সে পজিশনে নেই। পুলিশ যেই আইনে চলে সেখানে পদে পদে সমস্যা আছে। এসব বিষের মাঝেমধ্যে আলোচনা করা উচিত এবং খোলাখুলি আলোচনা হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, পুলিশ শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ নয়, সমাজেরও অংশ। পুলিশের সঙ্গে জনতার বিভক্তির মূলে যেতে হবে, এটা হলো জনতার সঙ্গে রাষ্ট্রের বিভক্তি। আর এই সমস্যার সমাধান হলো গণতন্ত্র।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
আমলারা চায়নি, তাই গণমাধ্যম সংস্কার হয়নি: জিমি আমির
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য জিমি আমির বলেছেন, আমাদের বলা হয়েছিল …

ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বরখাস্ত
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার কাজী মনিরুজ্জামানকে চাকরি থেকে …
