চক্কর সিনেমা নির্মাতা
অভাগী যেদিকে যায় নদী নাকি শুকিয়ে যায়

বিনোদন ডেস্কঃ
পরিচালকের ভাষ্যমতে, এমনিতেই চক্কর-এর শো-সংখ্যা তুলনামূলক কম। যাও আছে তাও অভাগীর নদী শুকিয়ে যাওয়ার মতোই! যা আসলেই শুরু থেকেই লক্ষ্য করে আসছেন তিনি ।
নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবনও নিজের অবস্থাটা এরকমই মনে করছেন। ঈদের পর পরই উত্তরার সেন্টার পয়েন্টে শো ১/২ দিন। হাউজফুলই ছিল। তারপর হুট করেই বন্ধ ! কারণ জানেন না পরিচালক নিজেও। জানার চেষ্টাও করেননি।
গত পরশু রাত ১১ টায় সিনেপ্লেক্সে এর সাইটে দেখা যায় গতকাল থেকে ২ টা শো। ১ টা সকাল ১০.৫০ মিনিটে আরেকটা বিকেল ৪.৩০ এ। যার টিকিট মুল্য ৯০০ এবং ১২০০ টাকা।
নির্মাতা জানান, চক্করের দর্শক মধ্যবিত্ত ইয়াং। ছাত্র এবং চাকরিজীবী। ছাত্রদের পক্ষে এতো টাকা ব্যয় করা যেমন কঠিন তেমনি একজন চাকরিজীবী পক্ষে অফিস ফেলে সিনেমা দেখাটাও একটা বিলাসিতা! । এখনো এক অলিখিত সম্পর্কের টানে চক্করকে বাচিয়ে রাখার প্রানান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
নির্মাতা বলেন ঈদ থেকেই! চক্করের সব শো সকাল-দুপুর, বড়জোড় বিকাল তারপরও কিছু মানুষ এখনো দেখে যাচ্ছে, গল্পকে ভালবেসে, বাংলা সিনেমাকে ভালবেসে!
তবে নির্মাতার কারো প্রতি কোন অভিযোগ নেই, রেখেছেন কেবল ভালবাসা। তবে সিস্টেম-এ পরিবর্তন আসাটা জরুরী। তাহলে বেঁচে যাবে হয়তো শরাফ আহমেদ জীবনের মতো অনেক স্বপ্নপিয়াসী নির্মাতা, বেঁচে যাবে বাংলা সিনেমা!
বরবাদ, জংলি, দাগি, চক্কর, জ্বিন ৩ সব সিনেমাই আমাদের প্রয়োজন। তবুও অদেখা এক সিস্টেমে বাঁধা অনেককিছু। প্রাপ্যটা পাচ্ছেনা কেউই..
ভিওডি বাংলা/জামিল হোসেন জিতু/এম




