পরোয়ানা জারি
তারেক রহমানের নির্দেশে মিনহাজের বিরুদ্ধে মামলা


আদালত প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক আশরাফুজ্জামান মিনহাজের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসম্পাদক মো. ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী ইলতুৎমিশ সওদাগর বলেন, ‘মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে এ প্রতারক হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে তাকে পরবর্তী সময়ে ষ্ট্যান্ডিং কমিটিতে স্থান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিষয়টি দলের নজরে আনেন। এরপর তারেক রহমান এই প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশেই মামলা করেছি।’
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আশরাফুজ্জামান একজন মেধাবী শ্রেণির প্রতারক। নিজেকে কখনো কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক, কখনো যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড ইউনির্ভাসিটির প্রফেসর পরিচয় দিয়ে সম্মান অর্জন করেছেন। নিজেকে অক্সফোর্ড ইউনির্ভাসিটির প্রফেসর হিসেবে পরিচয় দেওয়া এ আসামির শিক্ষাবিষয়ক ভ্রান্ত ও মিথ্যা পরিচয়ের সূত্র ধরে সমাজে বিত্তশালী লোকের খুব কাছে যাওয়ার সুযোগ হওয়ার পথ ধরেই বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদানের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় করাই তার মূল পেশা।
তার প্রতারণার সূচনা হয় ২০০৮ সালে ওয়ান ইলেভেনের সেনা সমর্থনে আওয়ামী সরকারে উত্থানের মধ্য দিয়ে। ২০০৯ সালে সাহারা খাতুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়ার পর তার জামাতা পরিচয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের চাকরির পদোন্নতি করা, বদলি করা এবং নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ সম্পদ অর্জন করে।
অর্থের নেশা আসামিকে এতটাই মোহাচ্ছন্ন করেছিল প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের ও পুলিশের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিরীহ ও নিরাপরাধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করা তার মূল লক্ষ্য হওয়ার ধারাবাহিকতা সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে জেল হাজতে পাঠান।
আরও বলা হয়, জুলাই-আগষ্টের বিপ্লব পরবর্তী সময়ে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় পরিবর্তন করে ‘বিএনপি’ এর ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সমন্বয় ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সকলের কাছে ক্ষমতাধর হিসেবে সমাদৃত করার জন্য বিদেশি সীম দিয়ে ফেইসটাইম, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ দ্বারা টার্গেট করে ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে ও কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছে বুঝিয়ে ভিকটিমের কাছে আস্থা অর্জন করে অর্থ আদায় করে।
চলতি মাসে আসামি তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মামলার ২নং সাক্ষী মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনোনীত স্ট্যান্ডিং কমিটির সমন্বয়কারী ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয় এবং তাকে পরবর্তী সময়ে ষ্ট্যান্ডিং কমিটিতে স্থান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
পরে দলের সিদ্ধান্তমতে শেরেবাংলা নগর থানায় যান মামলা করতে। তবে থানা মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করলেন তিনি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় …

সাবেক সচিব মিহির কান্তিসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
আদালত প্রতিবেদক:
সাবেক সচিব ও উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান …

সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানসহ …
