ইউক্রেন রক্ষায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চার দফা পরিকল্পনা ঘোষণা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়ে কিয়েভের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশ। এরপর তারা এ পরিকল্পনা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবে। হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনেরে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাগবিতণ্ডার ঘটনার দুই দিন পরে লন্ডনে আয়োজিত সম্মেলনে স্টারমার এ ঘোষণা দেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপীয় অন্য নেতারাও এ সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলনে দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়ার হাত থেকে ইউক্রেনকে রক্ষায় চার দফা কর্মপরিকল্পনাও তিনি ঘোষণা করেছেন।
চার দফা পরিকল্পনায় আছে- ১. ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা চালু রাখা। রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানো অব্যাহত রাখা। ২. স্থায়ী শান্তির ক্ষেত্রে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেকোনো শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনকে অবশ্যই রাখা। ৩. শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ প্রতিরোধে কিয়েভের প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা বাড়ানো। এবং ৪. শান্তি চুক্তি রক্ষাসহ পরবর্তী সময়ে শান্তির নিশ্চয়তা দিতে ইচ্ছুকদের নিয়ে জোট গঠন করা।
সংবাদ সম্মেলনে কিয়ার স্টারমার ইউক্রেনের জন্য পাঁচ হাজার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য অতিরিক্ত দুই বিলিয়ন ডলারের সহায়তার কথাও ঘোষণা করেন। এর আগে রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদের মুনাফা থেকে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ডের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিল ব্রিটেন।
স্টারমার বলেন, “আমাদের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমরা এমন কোনও দুর্বল চুক্তি গ্রহণ করতে পারি না, যা রাশিয়া সহজেই লঙ্ঘন করতে পারে। বরং চুক্তি হতে হবে শক্তিশালী।”
তিনি বলেছেন, ইউরোপকে অবশ্যই বড় অগ্রগতি অর্জন করতে হবে। এই সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন হবে এবং রাশিয়াকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে মস্কোকে কোনও শর্ত নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া হবে না।
স্টারমার বলেন, “আমরা ট্রাম্পের সঙ্গে জরুরি শান্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছি। এখন সবার একযোগে কাজ করার পালা।”
সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, "ইউক্রেন জোরালো সমর্থন অনুভব করছে। লন্ডনে যে সম্মেলনটি হলো তা ইউরোপীয় নেতাদের শীর্ষ নেতাদের ঐক্যের প্রতীক হয়ে ফুটে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই এমনটি দেখা যায় না।"
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
সম্মেলনে যেসব দেশ যোগ দিয়েছে তারা হলো— ফ্রান্স, পোল্যান্ড, সুইডেন, তুরস্ক, নরওয়ে, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, ফিনল্যান্ড, ইতালি, স্পেন ও কানাডা
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার জরুরি বৈঠকের ডাক
ডেস্ক রিপোর্ট
ইরানের পারমানবিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার জেরে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার …

ইরানকে পশ্চিমা তিন দেশের নতুন প্রস্তাব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয়পক্ষেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ধ্বংস হয়েছে …

ভারতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জরুরি অবতরণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতে একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান জরুরি অবতরণ করেছে। অত্যাধুনিক …
