ঠিকাদারকে হুমকি
কাজ শেষ করতে হলো পুলিশ পাহারায়

হুমকির মুখে পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করতে হলো ঠিকাদারকে। বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা দাবি, ঠিকাদারসহ কাজ বাস্তবায়নকারীদের হুমকি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মালামাল দেওয়ার নামে টাকা দাবিসহ নানা কারণে সাতক্ষীরার উন্নয়ন কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। এমনই পরিস্থিতিতে পুলিশ পাহারায় কাজ বাস্তবায়নের চিত্রও দেখা গেছে।
ঠিকাদাররা জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বদ্ধিপুর কলোনী এলাকায় সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার মেসার্স ছয়ানী এন্টারপ্রাইজের মালিক জাহিদ হাসানকে লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ঘটনার বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে পুলিশ পাহারায় পুরাতন সাতক্ষীরা সওজ থেকে গোবিন্দপুর বাজার ভায়া জেয়ালা সড়কের কার্পেটিং কাজ করতে বাধ্য হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সহয়তায় পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার জাহিদ হাসান বলেন, আমরা সরকারের উন্নয়ন কাজের অংশীদার। আমাদের কাজে বাধা দেওয়া মানে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া। বর্তমানে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে গেলে নীরব চাঁদাবাজির শিকার হতে হচ্ছে। আমার কাছে টাকা চেয়েছিলো তাদের টাকা না দেওয়ায় রাস্তা খুড়ে দেয়। অল্প কিছু কাজ বাকি থাকতে আমাকে চরম ভাবে হেনস্থা করে। পরে পুলিশ পাহারায় কাজটি শেষ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জানতে পারি বদ্দিপুরে সরকারি কাজে বাঁধা দিচ্ছে কিছু বখাটে, পরবর্তীতে আমার একজন সাব-ইনেন্সপেক্টর ও দুইজন কনস্টেবল পাঠিয়ে কাজ শেষ করার ব্যবস্থা করি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী ইয়াকুব আলী জানান, কার্পেটিং চলাকালীন সময়ে স্থানীয় কিছু বখাটে ঠিকাদারের কাছে মোট অংকের চাঁদা দাবি করে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক উক্ত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় নির্মাণকৃত সড়কটি সাবল দিয়ে খুড়ে দেয়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে তারা অফিস এবং ঠিকাদারের লোকজনকে নানা ধরনের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে তাদের আক্রমণাত্মক অবস্থা দেখে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের পাহারায় কাজটি শেষ করা হয়।
ভিওডি বাংলা/ আবদুল্লাহ আল মামুন/ আ







