আ'লীগ ৫০ জন প্রার্থীকে হত্যার মিশনে নেমেছে: রাশেদ খান

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে প্রায় ৫০ জন প্রার্থীকে হত্যার মিশনে নেমেছে। তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্র ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন রাশেদ খান।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুলি করা হয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
রাশেদ খান বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন-আসামিদের চিহ্নিত করতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। তাহলে প্রশ্ন হলো, দেশের গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র্যাব ও যৌথবাহিনী কী করছে? আগে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন ফ্যাসিবাদের দোসর যারা সরকার, উপদেষ্টা পরিষদ, বিভিন্ন দপ্তর ও বাহিনীতে রয়ে গেছে, তাদের ধরতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট-২’ ঘোষণা করা উচিত।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও উপদেষ্টাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সংস্কারের কথা বলা হলেও উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রব্যবস্থার কোনো প্রতিফলন জনগণ দেখছে না।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সুবিচারের ভিত্তিতে একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার, সেই আওয়ামী লীগই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বিনষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভিওডি বাংলা/জা





