জাতীয় সংসদ নির্বাচন
ঋণ খেলাপি দায় এড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভিড়

নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বেড়েছে সিআইবি ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার তৎপরতা। প্রতি মাসে গড়ে একশো জন ঋণগ্রহীতার আবেদন আসছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। কোনো ঋণ খেলাপি যেন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারে সেজন্য ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।
কোনো ব্যক্তির ঋণ নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে, নাকি দীর্ঘদিনের বকেয়া পড়ে আছে এমন সব তথ্য উঠে আসে সিআইবি বা ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর প্রতিবেদনে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত তিন–চার মাস ধরে গড়ে একশো জন করে ঋণগ্রহীতার আবেদন পড়েছে। এমনকি এক হাজারের বেশি ঋণগ্রহীতা ঋণ খেলাপির দায় এড়াতে হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে রেখেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী, তারা স্বাভাবিকভাবেই ঋণ খেলাপি যাতে না হয় সিআইবিটা ক্লিন করতে চান। যেহেতু সামনেই নির্বাচন, অনেক ব্যবসায়ীই আসছেন ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ দু’পক্ষই আসছেন, যাতে নির্বাচনে কোনো বাধা না আসে।’
বিশ্লেষকদের মতে, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন চাইলে আর্থিকভাবে দায়মুক্ত ব্যক্তিরাই প্রার্থী হওয়া উচিত। ঋণ খেলাপি ও অনিয়মের সাথে জড়িত কাউকে যেন প্রার্থী করা না হয় সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার তাগিদ দেন তারা।
অর্থনীতিবিদ এম. কে. মুজেরী বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি মনোনয়নের ক্ষেত্রে সৎ এবং নীতিবানদের মনোনয়ন দেন এবং কোনো অবস্থাতেই ঋণ খেলাপি বা দুর্নীতিগ্রস্তদের মনোনয়ন না দেন।’
কোনো প্রার্থী ঋণ খেলাপি হলে, আইন অনুযায়ী নির্বাচনে তার প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভিওডি বাংলা/ এমএম



