সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সশস্ত্র বাহিনীর নিরপেক্ষ,পেশাদার ও সক্রিয় ভূমিকার প্রতি গভীর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত "নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করণে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা: সম্ভাবণা ও করণীয়" শীর্ষক সেমিনারে এই আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ব্রি
জেনারেল (অব:)রোকন উদ্দীন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব রাশেদ প্রধান, আমজনতা পার্টির সদস্য সচিব ফাতেমা তাসলিম রাধা এবং সবুজ আন্দোলনের সভাপতি কাজী রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা জানান, উপমহাদেশে নির্বাচনকালীন সহিংসতা, পেশিশক্তির ব্যবহার, ভোটকেন্দ্র দখল ও প্রশাসনিক পক্ষপাত দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ। এসব থেকে মুক্তি পেতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ পূর্ণাঙ্গ ও জিরো-টলারেন্স ভূমিকা পালন করতে হবে এবং কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সেনাপ্রধানের দৃঢ় নিরপেক্ষ অবস্থান এ ক্ষেত্রে বিশেষ তাৎপর্য বহন করবে বলে তারা মনে করেন।
সেমিনারে আরও প্রস্তাব করা হয়, নির্বাচনের দিন ড্রোন মনিটরিং, বডি-ওয়র্ন ক্যামেরা, লাইভ ভোট সেন্টার ও নিরাপত্তা ডেটা অ্যানালাইসিসের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও প্রশাসনের মধ্যে একটি সমন্বিত কমান্ড স্ট্রাকচার গড়ে তুলে দ্রুত সাড়া প্রদানের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানানো হয়।
এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, অতীতের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে এবার সশস্ত্র বাহিনী জাতিকে উপমহাদেশের মানদণ্ডে অন্যতম সেরা, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবে। এতে ভোটারদের নিরাপত্তা, রাজনৈতিক দলের আস্থা এবং দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে তারা বিশ্বাস করে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ



