নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই : শফিকুল আলম

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের বিষয়ে কোনো আশঙ্কা কখনোই ছিল না। নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। আমরা প্রথম থেকে একই কথা বলে আসছি, নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় নেত্রকোণা সার্কিট হাউসে জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব সাংবাদিকদের কাছে জিজ্ঞেস করেন, আমাদের কথার মধ্যে কোনো ব্যত্যয় দেখেছেন? কোনো উপদেষ্টা কি এমন কোনো কথা বলেছেন, নির্বাচনের বিষয়ে অনিশ্চয়তা আছে? তিনি বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে এবং এ নির্বাচন সত্যিকার অর্থে ঠেকানোর শক্তি কারো নেই। যারা যত ষড়যন্ত্রই করুক নির্বাচন ঠিকমতো হবে এবং এই নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে ওয়ান অব দ্যা বেস্ট ইলেকশন হবে।
তিনি বলেন, আপনি যেমন চা স্টলে যান, আমিও যাই। আমি গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে একটানা ভিজিট করছি। আজকে মাগুরা যাচ্ছি, কালকে নোয়াখালী, পরশুদিন হালুয়াঘাট, পরদিন ময়মনসিংহ এভাবে সব জায়গায় যাচ্ছি। আমি তো সব জায়গায় নির্বাচনের হাওয়া দেখছি এবং সবাই বড় বড় মিটিং করছে। ইদানিং আমি মাগুরা গিয়েছিলাম। সেখানে রাতে প্রায় ১০ মিনিট আটকে ছিলাম মিছিলের কারণে, এত বড় মিছিল ছিল।
শফিকুল আলম, নির্বাচনের কোনো অনিশ্চয়তা দেখছি না। সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক বেটার। দু-একটি ঘটনা হয়েছে চট্টগ্রামে আমরা দেখেছি। কিন্তু আমাদেরকে পুলিশের তরফ থেকে যে আপডেট দেওয়া হচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন আরও বেটার হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি নেই। যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, আপনি খুঁজে দেখবেন তারা পতিত স্বৈরাচারের দোসর। হয়তোবা তারা পূর্বাচলে প্লট পেয়েছেন অথবা তাদের কাছ থেকে কোনো সুবিধা নিয়েছেন, অথবা তাদের সময়ে তারা খুব সুখে-শান্তিতে ছিলেন এবং বিভিন্ন সুবিধা পেয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের কোনো বিভ্রান্তি নেই। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে।
বিএনপি ও জামায়াতের ফোনালাপের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আমরা এখনো তাদের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য শুনিনি। তবে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে ফোন করা হয়েছে, তবে এখনো আমরা বিষয়টি জানি না।
তবে আমরা আশা করি, যেহেতু ক্ষমতায় রাজনৈতিক দলগুলো থাকবে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে তারাই আবার ক্ষমতায় আসবে। আমরা আশা করি, আগামী ১০০ বছর রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকুক। বাংলাদেশে যে আগে একটি রাজনৈতিক সমস্যা হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সেটা থেকে উত্তরণ হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র একটি শক্ত ভিত্তি পাবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ





