তারেক রহমানের দল কেন নিবন্ধন পায় না প্রশ্ন রাশেদ খানের

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, যেসব দল মাঠে নেই, অফিস নেই, সাংগঠনিক কাঠামো নেই তারা নিবন্ধন পাচ্ছে, অথচ ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করা তারেক রহমানের দল নিবন্ধন পাচ্ছে না এটি অন্যায় ও অগ্রহণযোগ্য।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ইসি ভবনের সামনে আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমানের অনশন কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে সাহস করে যে ব্যক্তি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন থেকে শুরু করে রাজপথে আন্দোলন করেছেন—তিনি তারেক রহমান। আজ সেই মানুষটি দল নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত। এটা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।
রাশেদ খান অভিযোগ করেন, অতীতে বহু দল নিবন্ধন পেয়েছে যাদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই।
‘আমরা দেখেছি, অনেক দলের অফিস নেই, কার্যকর কমিটিও নেই। ২৪ সালের ডামি নির্বাচনের আগে বিএনএম ও সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম, এসব নিষ্ক্রিয় দলের নিবন্ধন বাতিল করতে। কিন্তু এখনো তা করা হয়নি,’ যোগ করেন তিনি।
সম্প্রতি তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এনসিপিকে আমরা শুভকামনা জানাই। কিন্তু বাকি দুই দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে গুরুতর সন্দেহ রয়েছে। বিশেষ করে ‘আম জনগণ পার্টি’ নামের দলটি, যেটি ‘আমজনতার দল’-এর নামের সঙ্গে মিলে যায়—তারা ডেসটিনির সঙ্গে যুক্ত থেকে একসময় গ্রাহকের টাকা লুট করেছে। এখন তারাই দল গঠন করেছে।
রাশেদ আরও বলেন, ইসির গেজেট প্রকাশের পর হঠাৎ তারা নানা জায়গায় কমিটি ঘোষণা করছে। অথচ রাজপথে তাদের কোনো ভূমিকা আমরা কখনো দেখিনি। দল নিবন্ধনের প্রধান শর্ত হওয়া উচিত—রাজপথে সক্রিয়তা ও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা। ভুয়া কমিটি দেখিয়ে নিবন্ধন পাওয়া অনৈতিক।
দলটির সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের প্রধান ফটকের এক পাশে বসে আছি। সহযোদ্ধাদের এখানে আসতে দিইনি, যাতে গেটে যাওয়া-আসার সমস্যা না হয়। কিন্তু তারা এই গেট পুরোপুরি লক করে অন্য পাশের পকেট গেট দিয়ে যাওয়া আসা করছেন। পকেট গেটের পাশে বসলে আবার এটা খুলে দিচ্ছে। আবার এখানে এক পাশে বসলে অন্যটা খুলে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এখনো সুস্থ আছি। এই অনশন নির্বাচন কমিশনের জুলুমের বিরুদ্ধে অনশন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ



