• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

শাহজালাল বিমানবন্দরে স্ট্রং রুমের তালা ভাঙা

নিজস্ব প্রতিবেদক    ৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হাউজে অগ্নিকাণ্ডের পর সিলগালা করা স্ট্রং রুমের তালা ভাঙা পাওয়া গেছে। ভল্টে রাখা মূল্যবান জিনিসপত্র, স্পর্শকাতর নথি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য আমদানি করা আগ্নেয়াস্ত্রের নিরাপত্তা শঙ্কায় রয়েছে।

জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে স্ট্রং হাউজের ভল্টের কোনো সামগ্রী বা কাগজপত্র পোড়েনি। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য আমদানি করা বিপুলসংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্রও ওই স্ট্রং রুমে ছিল, যা খোয়া যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে।

যদিও ভেতর থেকে কোনো মূল্যবান জিনিসপত্র বা স্পর্শকাতর ডকুমেন্ট কিংবা অস্ত্র লুট কিংবা খোয়া গেছে কি না তা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো নিশ্চিত করে বলা হয়নি।

আরও জানা গেছে, এ ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিমানবন্দর থানায়। এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে তালা কাটার সরঞ্জামাদি উদ্ধার ও আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক দল।

স্ট্রং রুমের ভল্ট ভেঙে লুটপাটের ঘটনায় গত ২৮ অক্টোবর বিমানবন্দর থানায় জিডি করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মো. জামাল হোসেন। জিডিতে বলা হয়, বিমানবন্দরের কার্গো আমদানি কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুমের (ভল্ট) মালামাল ২৪ অক্টোবর বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার নেয়ামূল, বিমানের জি এম কার্গো নজমুল হুদা, এনএসআইর অতিরিক্ত পরিচালক ফিরোজ রব্বানীসহ আরও অনেকের উপস্থিতিতে ইনভেন্ট্রি শেষ করা হয়। এরপর সব মালামাল ভল্টে রেখে সবার উপস্থিতিতে বিমান সিকিউরিটির প্রতিনিধির স্বাক্ষরসহ ভল্টে শেকল দিয়ে তালা লাগিয়ে সিলগালা করা হয়েছিল। ২৭ অক্টোবর রাত ৯টা ৫০ মিনিটে পুলিশ সদস্য ও আনসারসহ সর্বশেষ সিল তালা দেখে এসেছিলাম।

জিডিতে আরও বলা হয়, পরের দিন ২৮ অক্টোবর সকাল ৭টা ৭ মিনিটে বিমান নিরাপত্তা শাখার ডিউটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম খানের মাধ্যমে জানতে পারেন, স্ট্রং রুমের ভল্টের তালা লাগানো নেই। বিষয়টি ডিজিএম সিকিউরিটিকে জানিয়ে আমি বিমানবন্দরে আসি। ডিজিএম সিকিউরিটিও বিমানবন্দরে আসেন। বিমান নিরাপত্তা ডিউটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম খান ও ডিজিএম সিকিউরিটি উভয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যসহ স্ট্রং রুমের ভল্টের কাছে গিয়ে দেখেন কোনো তালা লাগানো নেই।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, স্ট্রং রুমের কাছে পুলিশ যেতে পারে না বা ওইখানে আমাদের কোনো কাজ নেই। সেখানের তালা ভাঙার একটি জিডি হয়েছে বিমানবন্দর থানায়। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। আর ভেতর থেকে কোনো কিছু লুট হয়েছে কি না এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।

বিষয়টি বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, বিমানবন্দরের কার্গো আমদানি কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুমের ভল্টে সাধারণত মূল্যবান জিনিসপত্র ও জরুরি কাগজপত্র রাখা হয়। আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় নথি, শুল্কসংক্রান্ত কাগজপত্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক দলিলপত্র রাখা হয়। এ ছাড়া খুব বেশি মূল্যবান হওয়া কিছু আমদানি করা পণ্য সাময়িকভাবে ভল্টে রাখা হয়। সাধারণত স্বর্ণ, হীরা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ উচ্চমূল্যের ও সহজে বহনযোগ্য পণ্য নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়ে থাকে। সেখান থেকে পণ্য বের করতে হলে কয়েকজনের স্বাক্ষর লাগে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে বলেই স্ট্রং রুম বলা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৮ অক্টোবরের আগুনের পর কার্গো হাউজে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এত কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও স্ট্রং রুমের তালা কারা ভেঙেছে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

ভিওডি বাংলা/জা
 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নেতাকর্মীদের অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেতাকর্মীদের অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
শাহজাহানপুরে ভাড়া বাসা থেকে বস্তাবন্দি তরুণীর মরদেহ উদ্ধার
শাহজাহানপুরে ভাড়া বাসা থেকে বস্তাবন্দি তরুণীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার