ভোটের বাজারে এনসিপির কোনো অবস্থান নাই : মাসুদ কামাল

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেছেন, ভোটের বাজারে এনসিপির কোনো অবস্থান নাই। এই জিনিসটা আমি আমার মত করে বুঝি। আমার ধারণা এনসিপিও বুঝতে পেরেছে। নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী যতই বলুক ২০০ আসন পাবে, এই ২০০-এর আসলে সামনের ‘দুই’ টার অস্তিত্ব নাই, এটা উনি নিজেও এখন বুঝতে পারছেন।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, শুরুর দিকে মনে হয়েছিল এনসিপি খুবই সম্ভাবনাময় একটা দল। আমি নিজেও মনে প্রাণে চাচ্ছিলাম যে এই দলটা গড়ে উঠুক, সফল হোক এবং আলোচনায় আসুক। কারণ আমরা ট্রেডিশনাল পলিটিক্সের বাইরে একটা নতুন ধরনের দল চাচ্ছিলাম।
ধারণা ছিল নতুন দল তারাই করতে পারে যাদের চিন্তায় নতুন ভাবনা আসে। তারা ইয়াং, নতুনভাবে শুরু করবে ভেবেছিলাম ভালো করতে পারবে। আনফরচুনেটলি পারেনি। তাদের নিজস্ব নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা, ভুল সিদ্ধান্ত এবং জীবনাচরণের মাধ্যমে মানুষকে তারা আশান্বিত করতে পারেনি।
মাসুদ বলেন, এনসিপিতে অনেক মেধাবী ছেলেমেয়ে আছে। অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে তারা ঝামেলাটায় পড়ে গেছে। এখন আমার ধারণা ওনারা তাদের সিদ্ধান্ত স্ট্র্যাটেজি চেঞ্জ করেছে। সে চেঞ্জটা হলো তারা এখন ভাবছে যে, এই নির্বাচনটা আমার লক্ষ্য না। লক্ষ্য হলো দীর্ঘমেয়াদী একটা পলিসি নিয়ে অগ্রসর হওয়া।
মাসুদ আরো বলেন, তাদের ওপরে ট্যাগিং ছিল দুই তিনটা যে কারণে তারা অগ্রসর হতে পারে নাই। প্রথম ট্যাগিং ছিল তারা কিংস পার্টি। আরেকটা, গায়ে লেভেল লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল তারা জামায়াতের বিটিএম। তারা প্রথমে মনে করেছে, আমি যদি লং টার্ম পলিটিক্স করতে চাই তাহলে এই দুইটা লেভেল, যা আমার ওপর লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে তা তুলতে হবে। এইজন্যই তারা প্রথম দিকে বিএনপির বিরুদ্ধে বলতো এখন বলে না। প্রথমে নাহিদ ইসলাম শুরু করলো সরকারের সেফ এক্সিট নিয়ে। তারা বোঝানোর চেষ্টা করলো আমরা সরকারের সঙ্গে নাই। এটার মাধ্যমে তারা কিংস পার্টিরটা দুর্নামটা গা থেকে সরাতে চাই। দ্বিতীয়ত, জামায়াতের বিটিএম যেটা বলা হচ্ছিল, ওইটা কাটানোর জন্য এখন তারা জামায়াতের ব্যাপারে বলা আরম্ভ করছে। গা থেকে লেভেল সরানোর জন্য যাই বলেন— এই উড়াধুরা বলে লাভ নাই। হিসাব নিকাশ করে বলা উচিত যা মানুষ বিশ্বাস করবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ




