নবাবগঞ্জে অসময়ের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসল

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সোনার ফসলের আশায় চার মাসের বেশি সময় ধরে রাতদিন কষ্ট করেছেন কৃষক। যেখানে যা খরচ করার প্রয়োজন ছিল কোনো কমতি রাখেননি। কিন্তু সেই কষ্টের ফল হতে যাচ্ছে প্রায় শূন্য। এদিকে খেতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে কলাপাকা ধান। কিছু দিনের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে না পারলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
কৃষকদের স্বপ্ন ছিল কিছু ধান বেচে ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন। আর বাকি ধান দিয়ে সংসারের কয়েক মাসের খাবার ও খরচ জোগাবেন। কিন্তু ফসল ঘরে তোলার আগমুহূর্তে বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাঁদের সব স্বপ্ন ,পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিলো।
উপজেলার ২ নং বিনোদনগর ইউনিয়নের তর্পণঘাট (গোলাবাড়ি)গ্রামের ধানচাষি রবিন মুরমু । তিনি বলেন, আমার নিজের কোন জমি নেই মানুষের জমি টাকা দিয়ে ঠিকা নেই টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি আর বাতাসের কারোনে জমির ধান তলিয়ে গেছে। আবহাওয়া এরকম থাকলে ধান কাটতে না পারলে জলের নিচে গাঁজ বেরোবে । একেইতো ধান ভালো করে পাকেনি তার উপরে পানি তাই ধান কাটা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন।
আরেক ধানচাষি শ্রী অধির চন্দ্র রায় বলেন, তিন-চার দিনের বৃষ্টির কারণে পাকা ধান পানির নিচে ডুবে গেছে। এবারে ধানের আবাদে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা।
৩ নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক সাহাজুল হক সাজু বলেন আমার বাড়ির সামনে জমি কিন্তু এই জমি আমার নিজের নয় টাকার বিনিময়ে চানে হিসেবে আবাদ করি , আবার ফসল ফলাতে গিয়ে অনেক খরচ করেছি বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধান গাছ সহ পড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি ক্ষতির কারণে এবার আমার পরিবারে খাদ্যের ঘাটতি হবে ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস বলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলায় এ বছর বেরো ধান ২১৭২৫ হেক্টর জমি চাষবাদ হয়েছে, তারমধ্যে ধানের জমিতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৮ হেক্টর , আলু ২ হেক্টর , সবজি ১ হেক্টর আমি নিজেই ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেছি ।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ





