আমার বিশ্বাস নির্বাচনে আ’লীগ অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে: শেখ হাসিনা

 
                                            
                                    
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাবেক মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে লাখ লাখ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। তাই বর্তমান অবস্থায় তারা ভোট দেবে না। আমরা আওয়ামী লীগের ভোটারদের অন্য দলকে সমর্থন করতে বলছি না। আমরা এখনো আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত আমাদেরকেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। ই-মেইলে রয়টার্সের পাঠানো প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা তার দলের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকে অবিচার হিসাবে উল্লেখ করেন।
ক্ষমতাচ্যুতির পর এটি গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার প্রথম সাক্ষাৎকার। এতে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া না হলে তার দলের লাখো সমর্থক ভোট বর্জন করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাহী আদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে দেশে কোন নির্বাচন হলে, সেই নির্বাচনে গঠিত কোন সরকারের অধীনে দেশে ফিরবেন না জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভিন্নমত দমনের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০০৯ সালের পর তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন। এর মধ্যে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসেন, যা আমি-ডামির নির্বাচন নামে পরিচিতি পেয়েছে। সেই নির্বাচনে প্রধান বিরোধী জোট অংশ নেয়নি। কারণ, তাদের শীর্ষ নেতাদের অধিকাংশই কারাগারে অথবা নির্বাসনে ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার চলছে। ২০২৪ এর ছাত্র-আন্দোলনে সহিংস দমনপীড়নের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখানে তার সময়ের সবশেষ পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার দায় স্বীকার করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
জাতিসংঘ তার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে হওয়া বিক্ষোভে দেশে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত এবং হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন; যাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির শিকার হন। রয়টার্স বলছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর এটি ছিলে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা অভিযোগ এনেছেন, হাসিনার নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর গোপন আটককেন্দ্রে বা আয়নাঘরে বিরোধী কর্মীদের গুম ও নির্যাতন করা হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে।
আওয়ামী লীগের আগামীর নেতৃত্ব প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, দলটি তার পরিবারের নেতৃত্বে চলা বাধ্যতামূলক নয়।
কয়েক মাস আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদক শেখ হাসিনাকে দিল্লির ঐতিহাসিক লোধি গার্ডেনে নিরিবিলি হাঁটতে দেখেন। তার সঙ্গে ছিলেন দুজন ব্যক্তি, যাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী বলে মনে হচ্ছিল। কিছু পথচারী তাকে চিনে ফেললে তিনি মাথা নেড়ে সম্ভাষণ জানান।
সূত্র: রয়টার্স
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
 
                             
                         
                 
                




