ত্রাণ বিতরণ সিম্বলিক, মূল লক্ষ্য অবরোধ ভাঙা: শহিদুল আলম

 
                                            
                                    
বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম বলেছেন, ফিলিস্তিনে ফ্লোটিলা যাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙা। তিনি বলেন, “ত্রাণ বিতরণ ছিল কেবল সিম্বলিক। দেশটিতে শত শত ট্রাক ত্রাণ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে, কিন্তু সাংবাদিক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকায় তা পৌঁছাতে পারছে না।”
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল আলম তার বেআইনিভাবে ইসরায়েলে আটক হওয়ার ও মুক্ত হয়ে ঢাকায় ফেরার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি জানান, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে সাংবাদিকদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, স্বাস্থ্যকর্মীদের অবাধ যাতায়াত বন্ধ, এবং ফিলিস্তিনে হাসপাতালে হামলা করা হচ্ছে। “আমরা প্রকৃতপক্ষে এই অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে গিয়েছিলাম,” বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজায় আক্রমণ চলছে, আমাদের কাজ শেষ হয়নি: শহিদুল আলম
শহিদুল আলম প্রশ্ন তুলেছেন, “যেখানে ইসরায়েল নিজেদের মোরাল আর্মি হিসেবে দাবি করছে, সেখানে কীভাবে তারা একটি জাতির ওপর এমন নির্যাতন চালাচ্ছে? আন্তর্জাতিক আইন কীভাবে প্রতিদিন ভাঙছে, এটি আমাদের প্রশ্নের বিষয়।”
তিনি ঢাকায় পৌঁছান শনিবার ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে। এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে ইস্তাম্বুলে অবতরণ করে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. মিজানুর রহমানের স্বাগত পান। পরে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ ও গাজায় নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামে একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম গাজা অভিমুখে নৌযাত্রা শুরু করেছিল। এই যাত্রায় অংশ নেয় ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার’ আটটি নৌযানসহ মোট ৯টি নৌযান। বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকার কর্মীরা এতে যোগ দিয়েছিলেন।
গত ৮ অক্টোবর ওই নৌবহরে ইসরায়েলি সেনারা আক্রমণ চালিয়ে সব অধিকার কর্মী ও নাবিককে আটক করে। পরে শহিদুল আলমসহ অনেককে ইসরায়েলের কেতজিয়েত কারাগারে রাখা হয়। শহিদুল আলমের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকার জর্ডান, মিসর ও তুরস্কের মাধ্যমে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছিল।
কারামুক্ত হয়ে তিনি তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা করেন। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শহিদুল আলমের মুক্তি ও প্রত্যাবর্তনে সহায়তার জন্য।
ভিওডি বাংলা/জা
 
                             
                         
                 
                




