ফ্রান্সে কৃচ্ছতানীতি বিরোধী বিক্ষোভে লাখো মানুষ রাস্তায়


ফ্রান্সে কৃচ্ছতানীতি বিরোধী বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার লাখো মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। শিক্ষক, ট্রেন চালক, ফার্মাসিস্ট থেকে শুরু করে হাসপাতালের কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ ধর্মঘটে যোগ দেন। কয়েক ডজন স্কুল অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে কিশোররাও। খবর রয়টার্স।
বিক্ষোভকারীরা আগের সরকারের প্রস্তাবিত কৃচ্ছতানীতির বাজেট বাতিল, জনসেবায় ব্যয় বৃদ্ধি, ধনীদের ওপর কর বাড়ানো এবং অবসরের বয়স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন।
শ্রমিক সংগঠন সিজিটির প্রধান সোফি বিনে বলেন, “জনগণের ক্ষোভ এখন বিশাল এবং দৃঢ়সংকল্প। বাজেট নির্ধারণ করবে রাস্তায় থাকা মানুষ।” তার দাবি, সকাল পর্যন্ত দেশজুড়ে প্রায় চার লাখ মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন, বিকেলে আরও বড় সমাবেশ হওয়ার কথা।
সিএফডিটি ইউনিয়নের প্রধান মেরিলিজ লেয়োঁ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এটি নতুন প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়েন লেকর্নুর জন্য স্পষ্ট সতর্কবার্তা।
বিক্ষোভের কারণে দেশজুড়ে ট্রেন চলাচল ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক এবং প্যারিসে প্রায় অর্ধেক শিক্ষক ধর্মঘটে অংশ নেন। আঞ্চলিক ট্রেন চলাচল ব্যাপকভাবে ব্যাহত হলেও দ্রুতগতির টিজিভি ট্রেন সচল ছিল।
তবে কয়েকটি শহরে সহিংসতাও ছড়িয়ে পড়ে। নঁতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এবং লিয়ঁ শহরে অন্তত তিনজন আহত হন। দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফ্রান্সের বাজেট ঘাটতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্ধারিত সীমার প্রায় দ্বিগুণ। ফলে সরকারকে বিনিয়োগকারীর চাপের পাশাপাশি রাস্তায় নামা জনগণের ক্ষোভও সামলাতে হচ্ছে।
ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিক্ষোভ সামাল দিতে ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। দাঙ্গা দমন ইউনিট, সাঁজোয়া যান ও ড্রোনও ব্যবহার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্তত ৯০ জনকে।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ