এই নির্বাচন পিআর মাধ্যমে হবে না- নজরুল


ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেছে বিএনপির নেতারা। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাসে ঘন্টাব্যাপী এই রুদ্দ্রদ্বার বৈঠক হয়।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মুনির সাতৌরী। প্রতিনিধি সদস্যরা ছিলেন লুক্সেমবার্গের(ইপিপি) ইসাবেলা ভিয়েডার-লিমা, পোল্যান্ডের (ইসিআর) আরকাদিউস মুলারচিক, এস্তোনিয়ার(রিনিউ ইউরোপ) উর্মাস পায়েট, নেদারল্যান্ডসের(দ্য গ্রিন্স) কাতারিনা ভিয়েইরা প্রমূখ।
‘বানিজ্য আরও সহযোগিতা বাড়ানোর অনুরোধ’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এই দুই ক্ষেত্রেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা আমরা পেয়েছি সবসময়ে। তারা এই সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে এবং তারা চায় যে, যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ গণতন্ত্রে ফিরে আসুক, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় এটা তারা প্রত্যাশা করে। আমরা তাদেরকে গণতন্ত্র সুসংহতকরণে সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশে বানিজ্যের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে এটা আমরা তাদেরকে অনুরোধ করেছি। তারা সেটাতে সম্মতি জানিয়েছে এবং আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”
তিনি বলেন, ‘‘আমরা আশা করি যে, আগামী দিনে ইনশাল্লাহ বাংলাদেশের জনগণ যেজন্য দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই করেছে, গুম হয়েছে, খুন হয়েছে, নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছ বিশেষ করে গত জুলাই-আগস্টে যে সীমাহীন অত্যাচার সহ্য করেছে এর মধ্য দিয়ে যে গণতন্ত্রের আকাংখা সেই আকাংখা খুব দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘ দিনের যে স্বপ্ন গণতন্ত্র সেটা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।”
‘পিআর প্রসঙ্গে’
ভোটের পদ্ধতি পিআর নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘ এতো স্পেসিফিকেলি এগুলো নিয়ে আলোচনার প্রশ্ন না। আর পিআর তো এখন আলোচনা বিষয়বস্তু না এই কারণে যে, যদি আপনি রাজিও হন এই নির্বাচন পিআর এর মাধ্যমে হবে না। সেটা তো হবে সংবিধান সংশোধনের পরে। কাজেই আমরা আলোচনা করেছি আসন্ন নির্বাচন নিয়ে। এই নির্বাচনের পরে কী হবে বা সামনের নির্বাচন নিয়ে কী হবে এটা আলোচনার বিষয়বস্তু না।”
‘পিআর নিয়ে আন্দোলন প্রসঙ্গে’
কয়েকটি রাজনৈতিক পিআর নিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘ আমরা দীর্ঘ দিন আন্দোলন এক সাথে করেছি। একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে আমরা কিছু বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু কবে আমরা পিআর এর আলোচনা শুরু করলাম? কে কবে পিআর এর দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে । এই যে জুলাই আন্দোলন হলো সেখানে কি পিআর এর দাবি ছিলো? এটা একটা নতুন দাবি নিয়ে নির্বাচন সামনে এই সময়ে এরকম দাবিতে আন্দোলন, এই ধরনের কথা-বার্তা… আমরা মনে করি তারা বুঝতে পারবে তাদের কী করা উচিত এবং তারা আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।”
ভিওডি বাংলা/ এমপি