রাজবাড়ীতে আদালতের মামলা উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে উচ্ছেদ


রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের মাগুড়াডাঙ্গী গ্রামে নিজের ছেলের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখল, প্রতারণা ও উচ্ছেদের অভিযোগ তুলেছেন মোছাঃ ফিরোজা খোন্দকার। অভিযোগ রয়েছে, ছেলে খোন্দকার ফজলে রাব্বী সাগর ও পুত্রবধু শারমিন সুলতানা মুন্নি প্রতারণার মাধ্যমে তার বাড়ি-জমি দখল করে বিক্রি করেছেন এবং তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। বর্তমানে প্রভাবশালী ক্রেতারা প্রকাশ্যে ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন।
ফিরোজা খোন্দকার জানান, পাংশা পৌরসভার মাগুড়াডাঙ্গী মৌজার এসএ ৩০ নং খতিয়ানের মধ্যে পশ্চিমাংশের ৪৩.৫০ শতাংশ জমি প্রতারণার মাধ্যমে ছেলে সাগর নিজের নামে দলিল করে নিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি রাজবাড়ীর জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন, যার পরবর্তী তারিখ আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এ জমি আমার। আমাকে না জানিয়ে কেউ বিক্রি করতে পারে না। আমার সাথে প্রতারণা করে দলিল করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তারপরও আমার বাড়ি-ঘর ভেঙে আমাকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ক্রেতারা জেনে-শুনেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে।”
ফিরোজা খোন্দকারের অভিযোগ, ছেলে ও পুত্রবধু মিলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে তার বাড়ির পাঁচটি ঘর স্থানীয় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আবু সায়েমের কাছে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আবু সায়েম বলেন, “সাগরের স্ত্রী মুন্নি আমার কাছে ৫টি ঘর বিক্রি করেছে। তাই আমি লোকজন নিয়ে তা ভেঙে নিচ্ছি।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খোন্দকার ফজলে রাব্বী সাগর ও তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা মুন্নির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
ফিরোজা খোন্দকারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম বলেন, “মামলাটির শুনানি চলছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া জমি বিক্রি করা আইনত অপরাধ।”
পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আদালত থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।"
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ