নূরাল পাগলা
দুই মামলায় আসামি সাড়ে ৭ হাজার, গ্রেপ্তার ২০


রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নূরাল পাগলার দরবার ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও ভক্ত রাসেল মোল্লা হত্যা মামলায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় সাড়ে ৭ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব।
তিনি জানান, হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় ১৬ জন এবং হত্যা মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাগুলোতে আসামির সংখ্যা অনেক বেশি হলেও শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্য, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গ্রেপ্তার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যমে "গোয়ালন্দে অধিকাংশ মসজিদে নেই ইমাম ও মুয়াজ্জিন" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে ঢালাওভাবে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হবে না। মামলাসংশ্লিষ্ট গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে হামলা ও ভাঙচুর মামলার আসামি হচ্ছেন, হিরু মৃধা, মাসুদ মৃধা, শাফিন সরদার, এনামুল হক জনি, কাজী অপু, হায়াত আলী মৃধা, জীবন সরদার, বিল্লু, সাইফুল ইসলাম শুভ, ফেরদৌস সরদার, আলমগীর গাজী ওরফে পাগলা আলম, সোহান সরদার, রিয়াজ হোসেন রিতান্ত, আসলাম শেখ, শহিদুল ইসলাম ওরফে বুদ্দু ও সাগর ফকির। এর মধ্যে কাজী অপু, বিল্লু ও সোহান সরদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
অন্যদিকে নিহত রাসেল মোল্লার পিতা মো. আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর হত্যার অভিযোগে আরও একটি মামলা করেন। এতে ৪ হাজার জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, অভি মণ্ডল রঞ্জু, মাওলানা আ. লতিফ, শান্ত কাজী ও আনিসুর রহমান। এর মধ্যে অভি মণ্ডল রঞ্জু ও মাওলানা আ. লতিফ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ শেষে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং গাড়ি ভাঙ্চুর করেন এরপর তৌহিদি জনতা নূরাল পাগলার দরবারে হামলা চালায়। এসময় কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং ভক্ত রাসেল মোল্লা নিহত হন। ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ