• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

মাদারীপুরে কৃষি কর্মকর্তা সংকটে সেবা থেকে বঞ্চিত কৃষকরা

মাদারীপুর প্রতিনিধি    ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২২ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

মাঠ-পর্যায়ে কৃষকদের চাষাবাদের খুঁটিনাটি বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন কৃষি কর্মকর্তারা। এছাড়া সরকারি প্রণোদনা নিশ্চিত করতেও কাজ করেন তারা। তবে মাদারীপুরে মাঠ-পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা সংকটে ভুগছে দপ্তরটি। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন উপ-সহকারী কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও অনেক ইউনিয়নে মাত্র একজনই পুরো ইউনিয়নের তদারকির দায়িত্ব পালন করছেন। এতে সরকারি সেবা প্রান্তিক কৃষকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন কৃষকরা।

অবশ্য জেলার ঊর্ধ্বতন কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বদলি ও অবসরজনিত কারণে জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। জনবল চেয়ে প্রতি মাসেই প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৫৯টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভায় ১৮১টি কৃষি ব্লক রয়েছে। প্রতিটি ব্লকে একজন করে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার বিধান রয়েছে। সে হিসাবে প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি করে কৃষি ব্লকে ১৮১ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কর্মরত থাকার কথা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৮১টি ব্লকের মধ্যে ১০৩টিতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে ৭৮টি ব্লকে কোনো উপ-সহকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়নি। পার্শ্ববর্তী ব্লকের কর্মকর্তাদের দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। অনেক ইউনিয়নে তিনটি ব্লকে মাত্র একজন কৃষি কর্মকর্তা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে হচ্ছে। ফলে একজন কর্মকর্তা পুরো ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকদের সরকারি সেবা দিতে পারছেন না।

মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নে ২০১৭ সালে মিল্টন পাণ্ডে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে ধুরাইল ইউনিয়নের তিনটি কৃষি ব্লকের দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তার দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল একটি ব্লকে।

মিল্টন পাণ্ডে বলেন, আমি ২০১৭ সালে ধুরাইল ইউনিয়নের ধুরাইল ব্লকে যোগদান করার পর থেকেই বাজিতপুর ও বীরাঙ্গল নামের আরও দুটি ব্লক দেখছি। আমার ব্লক ছাড়াও কর্মকর্তা শূন্য ওই দুটি ব্লকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। একার পক্ষে তিনটি ব্লক তদারক করতে হিমশিম খেতে হয়। এ কারণে সবসময় কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করা যায় না।

এ বিষয়ে মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সন্তোষ চন্দ্র চন্দ বলেন, অবসর ও বদলিজনিত কারণে ইউনিয়ন পর্যায়ের উপ-সহকারী কর্মকর্তা সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা প্রতি মাসেই ঢাকায় শূন্যপদের বিপরীতে জনবল নিয়োগের জন্য লিখিতভাবে বলছি। প্রধান কার্যালয় থেকে কর্মকর্তা না পাঠালে তো আমাদের কিছুই করার থাকে না। অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। কর্মকর্তা শূন্য ব্লকগুলোয় পার্শ্ববর্তী ব্লকের কর্মকর্তাদের দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মূল আসামি গ্রেফতার
মূল আসামি গ্রেফতার
বাঁশখালীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখে দালান নির্মাণে জরিমানা
বাঁশখালীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখে দালান নির্মাণে জরিমানা
কুড়িগ্রামে বাল্যবিবাহ রোধে পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রামে বাল্যবিবাহ রোধে পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত