মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না : অতিরিক্ত ডিআইজি


রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরু পাগলের দরবারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না, এমনকি প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলেও না। তবে কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি বা গণগ্রেপ্তার করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিদ্দিকুর রহমান।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১টার দিকে নুরু পাগলের দরবার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, “আপনারা জানেন, এখানে পুলিশ, র্যাব ও যৌথ বাহিনী কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই জুমার নামাজের পর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অশান্ত হয়ে যায়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। শুধু ফুটেজ নয়, গোয়েন্দা তথ্য ও সব ধরনের ইনফরমেশন চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। যিনি প্রকৃত অপরাধী, তিনিই আইনের আওতায় আসবেন— তিনি প্রশাসনের ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন।”
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. রাকিবুল ইসলামসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
এর আগে দুপুর পৌনে ১টার দিকে সিআইডি’র ক্রাইম সিন ইউনিট দরবারে প্রবেশ করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।
এদিকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় শনিবার ৫ জন, রোববার ও সোমবার আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিল্লু ও কাজী অপু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন— গোয়ালন্দ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরু মৃধা, উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুদ মৃধা, শাফিন সরদার, এনামুল হক জনি, কাজী অপু, হায়াত আলী মৃধা, জীবন সরদার, সাগর ফকির, বিল্লু, সাইফুল ইসলাম শুভ, ফেরদৌস সরদার, আলমগীর গাজী ওরফে পাগলা আলম, সোহান সরদার ও রিয়াজ হোসেন রিতান্ত।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা। এরপর তাঁর ভক্তরা দরবারের ভেতরে দাফন করে এবং উপরে কাবা শরীফের আদলে ১০-১২ ফুট উঁচু স্থাপনা নির্মাণ করে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ শেষে দরবারে হামলা চালানো হয়। এসময় কবর ভেঙে মরদেহ উত্তোলন করে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ