• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক ডাকসুর নেত্রীদের ‘গৃহদাসী’ মন্তব্য করে চাকরি হারালেন ব্র্যাক গবেষক ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকী’র পাশে তারেক রহমান ১৩ দিনে ১৬ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল আঙ্কারা মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের নবীনবরন অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী মানুষের পশুত্ব বর্জনই হোক সবার অঙ্গীকার : তারেক রহমান টানা ৪ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মচারীদের

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে যে সমস্যা হয়

লাইফস্টাইল    ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩৮ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

“আমাদের রক্তের গ্রুপ যদি এক হয়, তাহলে কি ভবিষ্যতে সন্তানের কোনো সমস্যা হতে পারে?”  এমন অনেক দম্পতির মনেই একটি সাধারণ প্রশ্ন জাগে। বিশেষ করে আশেপাশের কেউ বললে যে রক্তের গ্রুপ এক হলে সমস্যা হয়, দুশ্চিন্তা আরও বাড়ে।  

চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, রক্তের গ্রুপ এক হওয়ায় সাধারণভাবে কোনো সমস্যা হয় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে Rh ফ্যাক্টর সম্পর্কিত বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি।

বিভিন্ন অ্যান্টিজেনের ওপর ভিত্তি করে মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ধারিত হয়। সাধারণত আমরা যেটা জানি তা হলো, A, B, AB এবং O। এগুলো ABO গ্রুপিং পদ্ধতির অংশ। এছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো Rh ফ্যাক্টর, যার ভিত্তিতে রক্ত হয় পজিটিভ (+) বা নেগেটিভ (–)। এটি বিশেষভাবে সন্তানের গর্ভধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
 
উভয়ের রক্ত পজিটিভ (+): সন্তানও সাধারণত পজিটিভ হবে। কোনো সমস্যা নেই।

উভয়ের রক্ত নেগেটিভ (–): সন্তানও নেগেটিভ হবে। কোনো ঝুঁকি নেই।

স্বামী নেগেটিভ, স্ত্রী পজিটিভ: কোনো ঝুঁকি নেই। সন্তান পজিটিভ বা নেগেটিভ দুটোই হতে পারে।

স্বামী পজিটিভ, স্ত্রী নেগেটিভ: সতর্কতা প্রয়োজন। যদি সন্তানের রক্ত পজিটিভ হয়, তাহলে মায়ের শরীরে Rh অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে। এটি ভবিষ্যতের গর্ভধারণে সমস্যার কারণ হতে পারে।

মায়ের শরীর শিশুর রক্তকে ‘বিরোধী’ হিসেবে চিনতে পারে। এতে শিশুর রক্তকণিকা নষ্ট হতে পারে এবং দেখা দিতে পারে:

. জন্ডিস

. রক্তশূন্যতা

. Hydrops Fetalis (শিশুর শরীরে পানি জমে যাওয়া)

যদি চিকিৎসা না করা হয়, তখন শিশুর গর্ভেই মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তবে এটি সাধারণত প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে ঘটে না; সমস্যা দেখা দেয় পরবর্তী গর্ভধারণে।

প্রতিরোধ ও করণীয়

বিশেষজ্ঞ, বলেন, গর্ভধারণের আগে স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ জানুন। স্ত্রীর রক্ত Rh নেগেটিভ এবং স্বামীর পজিটিভ হলে: Rh অ্যান্টিবডি টেস্ট করতে হবে।

যদি অ্যান্টিবডি না থাকে:

. গর্ভাবস্থার ২৮ সপ্তাহে একটি টিকা।

. সন্তান জন্মের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি টিকা।

. যদি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে থাকে, চিকিৎসকের ঘন নজরদারি প্রয়োজন।

রক্তের গ্রুপ এক হওয়াটা সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না। Rh পজিটিভ/নেগেটিভ মিল থাকলে কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করলে সন্তানের স্বাভাবিক ও সুস্থ জন্ম নিশ্চিত করা সম্ভব।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পরকীয়ার প্রবণতা কারা বেশি, গবেষণা কী বলছে?
পরকীয়ার প্রবণতা কারা বেশি, গবেষণা কী বলছে?
শরীরচর্চায় লুকিয়ে আছে সতেজ-প্রাণবন্ত থাকার উপায়
শরীরচর্চায় লুকিয়ে আছে সতেজ-প্রাণবন্ত থাকার উপায়
সুস্থ থাকার প্রাকৃতিক সূত্র
সুস্থ থাকার প্রাকৃতিক সূত্র