• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ব্রয়লার ১৬৫, ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক    ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৮ এ.এম.
ছবি: সংগৃহীত

এখন মাছ-মাংস, সবজি ও নিত্যপণ্য-কোনোটিরই দাম সহনীয় পর্যায়ে নেই। ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে উঁচু। পাঙাস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০০ টাকায়, ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ টাকা, আর লেয়ার, সোনালী ও দেশি মুরগির দাম আরও বেশি।

রাজধানীর মিরপুরের মাটিকাটা বাজারে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেখা যায়, সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০-৩৪০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরু মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০-৮০০ টাকা, ছাগল ও খাসি মাংস ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, ব্রয়লার মুরগি ছাড়া অন্য কিছু কেনা এখন কষ্টকর। নুরুল ইসলাম বলেন, “ব্রয়লার আগে একটু কম দামে পাওয়া যেত, এখন ১৬৫ টাকা কেজি। প্রতিদিনের বাজার খরচ সামলানোই কষ্টকর।” হাবিবুল বাশার যোগ করেন, “পাইকারি দামের কারণে সোনালী বা দেশি মুরগি ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। তাই বাধ্য হয়ে ব্রয়লার কিনতে হচ্ছে।”

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, খুচরা বাজারে দাম কমানো তাদের হাতে নেই। মুরগি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, “পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে আনতে হচ্ছে। খামারের খাবার ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না।”

মাছের বাজারে ইলিশ কেজিপ্রতি ১,৫০০ থেকে ২,৭০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। পাঙাস ২০০ টাকা, রুই ৩৪০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ বিক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, “জোগান ঠিক আছে, কিন্তু দাম এত বেশি যে অনেক ক্রেতাই ফিরে যাচ্ছেন।”

ক্রেতারা আশা করছিলেন, ভরা মৌসুমে ইলিশের জোগান বেড়ে দাম কমবে। কিন্তু নদীতে আশানুরূপ ইলিশ ধরা না পড়ায় সরবরাহ কম থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না। অনেক স্বল্প আয়ের মানুষ এখন এই মাছ কিনতে পারছেন না।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভালো শেয়ারের বিক্রির চাপ, সূচকে পতন ও লেনদেনে হ্রাস
ভালো শেয়ারের বিক্রির চাপ, সূচকে পতন ও লেনদেনে হ্রাস
ডিএসইতে সূচক-লেনদেনে ধীরগতি
ডিএসইতে সূচক-লেনদেনে ধীরগতি
সব রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা
সব রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা