• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

পাংশায় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি    ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচালনা করেছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে দুদকের ফরিদপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের একটি টিম এ অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ। এসময় তাঁর সঙ্গে সহকারী পরিদর্শক মো. শামীমসহ আরও ২ জন এনফোর্সমেন্ট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান চলাকালে জমি রেজিস্ট্রির কাজে আসা মিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষ তো এসব ভালোভাবে জানি না। গতকাল জমি রেজিস্ট্রির জন্য দলিল লেখক আব্দুর রহমান (কালু)-এর কাছে জানতে চাই ২৪ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করতে কত খরচ হবে। তিনি বলেন ৪৩ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাগবে। আজ অফিসে এসে আমি ২৭ হাজার টাকা দিয়েছি, বাকি টাকা কাজ শেষে দিতে হবে। পরে জানতে পারি, আসলে আমার জমির রেজিস্ট্রির খরচ হয়েছে ২৯ হাজার টাকা। অথচ সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা ভিতরে টানানো চার্ট না দেখলে সঠিক খরচ জানবো কিভাবে? শুধু আমি না, আমার মতো অনেকেই এখানে এসে প্রতারিত হয়। আজ দোকানে কাগজ ফটোকপি করার সময় একজন ভাই জিজ্ঞাসা করলো ভাই আপনার জমি রেজিস্ট্রি করতে কত টাকা খরচ হয়েছে? আমিও জমি রেজিস্ট্রি করবো তখন আমি বলি যে, ২৪ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করতে প্রায় ৪৩ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাগবে, তিনি আমার নাম নোট করে নিলো। কিছু সময় পরে দেখি দুদকের কর্মকর্তারা আসলো।"

কয়েক ঘণ্টাব্যাপী অভিযানের শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ সাংবাদিকদের জানান, “সরকারি কোষাগারের অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানকালে সরকারি নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। দলিল লেখকরা ১২% হারে টাকা নিয়ে দলিল সম্পাদন করে থাকেন। এছাড়া অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও পাওয়া গেছে। যেমন, ১৮৪২ নং দলিলের ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৮০ টাকার পে-অর্ডার নকলনবিশ শামীম খান হারিয়ে ফেলেছিলেন। পরে তিনি তা জমা দেন। এই টাকা আত্মসাৎ বা অন্য কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য আমরা প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবো, এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার মো. মোমেন মিয়া বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা যখন যে অফিসে আসেন সেটি উন্নয়নের জন্যই আসেন। এখানে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হয় কিনা-সে বিষয়ে কখনো আমার কাছে অভিযোগ আসেনি। আমি নিজে কোনো অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করি না, কেউ নিয়ে থাকলে সেটা দলিল লেখকরা নিয়ে থাকতে পারে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পাকুন্দিয়ায় বিএনপি নেতার মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া
পাকুন্দিয়ায় বিএনপি নেতার মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনে শোভাযাত্রা
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনে শোভাযাত্রা
রাজারহাটে ৩বছরের শিশুকন্যা ধর্ষিত,ধর্ষক পলাতক
রাজারহাটে ৩বছরের শিশুকন্যা ধর্ষিত,ধর্ষক পলাতক