এখন জাতীয় পার্টিকে রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির : শামীম পাটোয়ারী


জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, দেশের ও গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন বিএনপির। সম্প্রতি এক টক শোতে তিনি বলেন, “বর্তমানে অনেকেই জাতীয় পার্টিকে ব্যান করার কথা বলছে, তবে এখন পর্যন্ত তা হয়নি। বিএনপি এই ফাঁদে পা দেয়নি, এজন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে কী হবে, তা জানি না। যদি জাতীয় পার্টি ব্যান হয়ে যায়, ভোটের ক্ষেত্রে বিএনপি প্র্যাকটিক্যালি পাপেট হয়ে যেতে পারে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করার দায়িত্ব বিএনপির।”
রাজনীতিতে কুলিং পিরিয়ড দরকার উল্লেখ করে শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘বিএনপি সে দায়িত্ব পালন করলে আমি মনে করি দেশের মঙ্গল, বিএনপির মঙ্গল, সবার মঙ্গল। জিয়াউর রহমান এই কাজটা ক্ষমতায় এসে করেছিলেন। সব দলকে রিভাইভ করেছিলেন। যদি ২০০৬ সালে ভোটে আওয়ামী লীগ চলে আসত, তাহলে বিএনপির ওপর ইমিডিয়েটলি দুর্বিষহ নির্যাতন হতো। ইমিডিয়েটলি। কারণ তার আগে ২১ আগস্ট ঘটেছে, যে ২১ আগস্ট নিয়ে সংসদে বলা হয়েছে ভেনিটিতে করে গ্রেনেড আনা হয়েছে, কিন্তু দুই বছরের কুলিংয়ের পরে যেটা হয়েছে। ভোট হয়েছে। আওয়ামী লীগ কিন্তু আটের ভোটের পরেই ইমিডিয়েট বিএনপির ওপর টর্চার করেনি। টর্চার শুরু হয়েছে আরো পরে। এটা কুলিং পিরিয়ড। এই কুলিং পটটা মনে হয় বাংলাদেশে খুবই দরকার।’
সেনাপ্রধান ক্ষমতা নিতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন এখানে প্রবলেম হচ্ছে, আমাদের মাননীয় সেনাপ্রধান যিনি আছেন উনি ক্ষমতা নেওয়ার ব্যাপারে বা ইমারজেন্সির ব্যাপারে ওনার কোনো আগ্রহ নেই। কারণ উনি যদি নিতে চাইতেন, পাঁচ তারিখে নিতে পারতেন। অর্মত্য সেন কিন্তু প্রশংসা করেছে সেনাপ্রধানের যে উনি পাঁচ তারিখে ক্ষমতা নেননি। এখন দেশের স্বার্থে যদি এ রকম হয়, দেশ চলছে না এট দ্য মোমেন্ট, কমপ্লিটলি চলছে না। সরকার ভাবলেশহীন, সরকার দায়িত্বহীন এবং সরকার ফ্লুইড সরকার যে কিছুদিন পরে তো আমরা থাকব না, আমরা আর কী করব! অনেকে বিদেশ থেকেও আসছে সরকারের মধ্যে অ্যাডভাইজার এবং সেখানে রিয়েল কনস্টিটিউশনাল ক্রাইসিস আছে যে বিদেশি নাগরিক ইম্পর্টেন্ট ক্যাবিনেটের দায়িত্বে আছে। এটা কিন্তু ইস্যু আছে।’
সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার প্রসঙ্গেও তিনি মন্তব্য করেন। শামীম পাটোয়ারীর মতে, আসিফ মাহমুদ সরকারের সমালোচনা করে সংবিধানের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তিনি বলেন, “কেবিনেটের সদস্য কখনো সরকারের সমালোচনা করতে পারবে না, কারণ কেবিনেট কালেক্টিভভাবে পার্লামেন্টের কাছে দায়বদ্ধ।”
ভিওডি বাংলা/জা