চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানির অনুমতি: খাদ্য উপদেষ্টা


খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ইতিমধ্যে চাল আমদানি শুরু হয়েছে, যা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে দিনাজপুর সার্কিট হাউসে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও খাদ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বিষয়ক মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে উৎপাদন বেশি হলেও কেন আমদানি করতে হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন,
“চাল শুধু মানুষই খায় না, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, মাছসহ বিভিন্ন খাতেও এর ব্যবহার হয়। ফলে চাহিদা উৎপাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ব্যবসায়ীদের লাভ না থাকলে তারা আমদানিতে আগ্রহী হতেন না।”
তিনি জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার তিনটি পদক্ষেপ নিয়েছে—
- ১৫ আগস্টের পর থেকে বাজার থেকে ধান-চাল কেনা বন্ধ করা।
- খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু রাখা।
- চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫৫ লাখ মানুষ ছয় মাস ধরে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। সরকারের লক্ষ্য হলো চালের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “প্রতি কেজি চালের জন্য সরকার ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছে। গত বছর কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার সময়ও বাড়তি দাম দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হন।”
ভিওডি বাংলা/ আরিফ