বাগবাটী ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তার বৈষম্যের শিকার ৯নং ওয়ার্ড


অন্তবর্তী কালীন সরকার যখন মানুষের জীবন মান উন্নত ও বৈষম্যহীন দেশ গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক তখনই সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটী ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহেল রানা ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনায় রীতিমতো বৈষম্য করে যাচ্ছেন।
ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বাদ রেখে বাকি ওয়ার্ডগুলোতে সরকারি সকল উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তিনি।
৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আবু রায়হানের অভিযোগ তার ওয়ার্ডে কোনো সরকারি প্রকল্প, সরকারি অনুদান দিচ্ছে না এমনকি ওয়ার্ডের জনগনের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহেল রানা।
জনমতে প্রশ্ন উঠেছে ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আবু রায়হানের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্মকর্তার কিসের বিরোধ যার ফলে এতো বৈষম্য?
জানা যায়, বাগবাটী ইউনিয়নেটঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে সদর উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা দায়িত্ব পাওয়ার পর যথাযথ ভাবেই ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। সরকারি প্রকল্পগুলো ইউপি সদস্যদের মাঝে যথাযথ ভাবে বন্টন করে দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু রায়হানকে বাদ রেখে বাকি ইউপি সদস্যদের মধ্যে প্রকল্প, অনুদানগুলো বন্টন শুরু করে।
এ বিষয়ে বাগবাটী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আবু রায়হান বলেন, আমার ওয়ার্ডের জনগনের মাঝে কোনো সরকারি প্রকল্প বা অনুদান দিতে পারছি না৷ খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় দুস্থ মানুষের জন্য সরকারি চাউলের কার্ড আমাকে বাদ রেখে সকল মেম্বারদের দিয়েছিলো। আমাকে একটাও কার্ড দেয়নি৷ আমার ওয়ার্ডের জনগনের মাঝে কোনো প্রকার চাউলরের কার্ড দিতে পারি নাই৷ জনগনকে কি জবাব দেব? কয়েকদিন আগে ইউনিয়নে সেলাইমেশিনের বরাদ্দ এসেছিলো সকল মেম্বারদের ২টা করে দিলেও আমার ওয়ার্ডের জনগনের জন্য আমাকে একটাও সেলাইমেশিন দেয়নি। আমার ওয়ার্ডের মসজিদে যাওয়ার রাস্তার খুবই বেহাল দশা, মুসুল্লিরা খুব কষ্টে নামাজ পরতে যায়। আমি ওই রাস্তাটা জন্য বার বার চাহিদা দিলেও আমাকে দেওয়া হয়নি। সেটা না দিয়ে ৬নং ওয়ার্ডে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহেল রানা আত্মীর বাড়ির সামনে প্রকল্প দিয়েছে, সেখানে মাত্র কয়েকটা পরিবারের বসবাস।
তিনি আরও বলেন, আমার ওয়ার্ডের জনগনের যাতায়াতের জন্য কিছু রাস্তা পাকা করার খুবই দরকার যা আমি করতে পারছি না প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহেল রানার জন্য। তার বৈষম্যের কারনে আমার ওয়ার্ডের জনগন সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয় নিয়ে বাগবাটী ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহেল রানা সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আপনি যার কথা বলছেন সে তো মেম্বার নায় সে চেয়ারম্যান। উনাকে দেওয়ার কথা কিভাবে আসে। আর কারা পেয়েছে সেটা আপনারা খোজ নিয়ে দেখেন।
মূলত সে নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করায় আমি তাকে কোনো প্রকল্প দেই নি। আর যতক্ষণ চেয়ারম্যান হিসেবে দাবি করবে ততক্ষণ আমি তাকে কোনো প্রকল্প দিব না।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ