• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

জি কে শামীমের খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:১৫ পি.এম.
জি কে শামীম- ছবি সংগৃহীত

অর্থ পাচারের মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস পাওয়া সাবেক যুবলীগ নেতা ও ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রোববার (১৭ আগস্ট) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এই আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, গত ৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি জাবিদ হোসেনের বেঞ্চ জি কে শামীমকে অর্থ পাচারের মামলায় খালাস দেন।

২০২৩ সালের ১৭ জুলাই অর্থ পাচার আইনে জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং তার সাত দেহরক্ষীকে চার বছর করে সাজা দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। সেই সঙ্গে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

বিচারকের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থ পাচারকারীরা দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতির জন্য হুমকি। তারা কোনো আদর্শ লালন না করে আদর্শকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলে।”

এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর র‍্যাব অভিযান চালিয়ে শামীমের নিকেতনস্থ বাসা ও অফিস থেকে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা নগদ, বিদেশি মুদ্রা ও মদ জব্দ করে।

পরে ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় র‌্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ আদালতে চার্জশিট জমা দেন এবং ১০ নভেম্বর বিচার শুরু হয়।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৩২ নম্বরে ফুল দিতে যাওয়া সেই রিকশাচালক কারাগারে
৩২ নম্বরে ফুল দিতে যাওয়া সেই রিকশাচালক কারাগারে
সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত প্রাঙ্গণে আগ্নেয়াস্ত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা
সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত প্রাঙ্গণে আগ্নেয়াস্ত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা
ফ্যাসিস্ট আ.লীগ ও তাদের দোসররা বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে
ফ্যাসিস্ট আ.লীগ ও তাদের দোসররা বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে