তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলেছে সব জলকপাট


টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নীলফামারীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম জানান, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর পানি বাড়ছে। ইতোমধ্যে চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যার মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পানির উচ্চতা বাড়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাগড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী, গড়াবাড়ী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, শেলাইমারী ও কৈইমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, সবচেয়ে বড় চরগ্রাম ঝাড়সিংশ্বরসহ আশপাশের চরগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে বহু ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা ও কালিগঞ্জ উপজেলাতেও। এসব এলাকার নদীবেষ্টিত গ্রাম ও চরাঞ্চলে হাঁটুসমান পানি উঠেছে। অনেকে গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন।
ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) পর্যন্ত নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে ছিল। তবে বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে তা ৪-৭ সেন্টিমিটার ওপরে উঠতে থাকে এবং মধ্যরাতে ৩ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছে যায়। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ব্যারাজের সব স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/জা