খুনিদের ফাঁসির দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ্'র শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে। তার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়ামোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আগামীকাল (৪ঠা আগাস্ট) বেলা ১১ টায় প্রশাসন ভবন অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে।

এর আগে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর কারণ হলো শ্বাসরোধজনিত শ্বাসকষ্ট যা মৃত্যুর আগে ঘটেছে এবং এটি হত্যাজনিত 
ময়নাতদন্ত করার সময় থেকে আনুমানিক ৩০ ঘণ্টা আগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

এসময় ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাজিদ হত্যার বিচার চাই ; জুলাই যোদ্ধা কবরে, খুনি কেন বাহিরে ; ফাঁসি ফাঁসি  ফাঁসি চাই খুনিদের ফাসি চাই; ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে প্রশাসন কি করে; খুনিদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও ; আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে' ইত্যাদি স্লোগান প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। 

ইবি শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক বলেন, ‘পুকুরে সাজিদের লাশ পাওয়ায় পর থেকে প্রশাসন তালবাহানা শুরু করেছে।তারা বলেছিল ২৪ ঘণ্টার ভিতরে রিপোর্ট দিবে কিন্তু সেই রিপোর্ট দিয়েছে ৪৮ ঘণ্টার পরে। এই তালবাহানা আর মেনে নেওয়া হবে না। ফরেনসিক রিপোর্ট মতে, সাজিদ আব্দুল্লাহকে রাত তিনটার দিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসনকে বলতে চাই- আপনারা হত্যাকারীকে দ্রুত চিহ্নত করে বিচার নিশ্চিত করুন। তা না করতে পারলে ছাত্রজনতা তাদের পথ বেছে নেবে।’

আরেক শিক্ষার্থী জাকারিয়া হোসেন বলেন, 'যারা সাজিদকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের অতিদ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী পুষ্প বলেন, ‘আমার বন্ধুর মৃত্যু একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই প্রশাসন যদি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করতে না পারে, তারা নিজেদেরকে একটি পঙ্গু প্রশাসন হিসেবে প্রমাণ করবে। এ ক্যাম্পাসে আর কোনো সাজিদ যেন প্রাণ না হারায় সে ব্যাপার নিশ্চিত করুক প্রশাসন। আমরা চাই পিবিআইকে যেন এই তদন্তের ভার হস্তান্তর করা হয়। আমরা চাই প্রশাসনের উদ্যোগে একটি মামলা দায়ের করুক। আমরা আর কোনো তাল-বাহানা চাই না।’

ইবি শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না অলি বলেন, ‘যেই হত্যাকারী হোক না কেন ১৭৫ একরে তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে যে আন্দোলনের ডাক দিবেন কোনো দল মত না ভেবে আন্দোলনে থাকবো। আমরা দেখতে চাই কতবড় কালিজাধারী ব্যক্তি ১৭৫ একরে সাজিদকে হত্যা করেছে।’

এসময় শাখা ছাত্রদলের সদস্য নুর উদ্দিন বলেন, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই ঘরে থাকার সময় নাই। আমরা চাই পিবিআই সহ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করুন। যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাজিদ হত্যাকারীদের কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন করে দেয়া হবে।’

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ