রাজশাহীতে ফিটনেসবিহীন গাড়ির দৌরাত্ম্য
এক বছরে ৩৮০ জনের মৃত্যু


ফিটনেসবিহীন একটি বাস রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের বনানী এলাকায় এসে বন্ধ হয়ে গেছে। তাই যাত্রীরা ধাক্কা দিয়ে গাড়িটি চালু করার চেষ্টা করছেন। আঞ্চলিক ও মহাসড়কগুলোতে এমন চিত্র হরহামেশাই দেখা মেলে।
রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জসহ বিভাগের সবকটি জেলার উপজেলা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি লক্কড়ঝক্কড় ফিটনেসবিহীন বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস চলাচল করে। ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোর বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক ও অসাবধানতার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হচ্ছে নতুন নাম, আর গুরুতর আহত হচ্ছেন অনেকে। বিআরটিএ’র দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে বিভাগে ২৫৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় যাত্রী, চালক, হেলপার ও পথচারী মিলিয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৩৮০ জন। আহত ও অঙ্গহানি হয়েছে পাঁচশোর অধিক।
সড়কে চলাচলকারী ২৫ থেকে ৩০ বছর আগের বিভিন্ন যানবাহন রং করে রাস্তায় চলাচল উপযোগী করা হচ্ছে। উপায় না পেয়ে যাত্রীরা এসব বাসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন অসংখ্য গাড়ি দেখা গেলেও পরিবহন চালক, হেলপাররা বলছেন ফিটনেস আছে সব গাড়ির।
একই কথা বলেন, নাটোর জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি প্রশান্ত কুমার পোদ্দার লক্ষণ। এদিকে, সড়কে ফিটনেস বিহীন গাড়িগুলো বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানান বগুড়া বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
আর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা আফরিন ঝিনুক বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড শেভরন ও ৩ হাজার রোড স্টার স্থাপন করা হয়েছে। ২০ বছরের অধিক সময় ধরে সড়কে চলা গাড়িগুলো জব্দে সম্প্রতি একটি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়, যা ২০ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। বিভাগে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ১ হাজার ২শ’।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ