নারীদের অংশগ্রহণে হতাহতের সংখ্যা কমেছে: সামান্তা


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে নারীরা সামনে না থাকলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। কারণ, নারীরা শুধু সাহসিকতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশই নেয়নি, বরং নিজেদের বুক দিয়ে পুরুষ সহযোদ্ধাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। নারীরা এই বিপ্লবের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তবে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে এখনও নারীরা অনিরাপদ। এই বাস্তবতা বদলাতে হলে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ ক্ষমতার প্রতিটি স্তরে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে বলে মত দেন তিনি।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তি আয়োজিত ‘মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ এবং নতুন বন্দোবস্তের লক্ষ্যে নারীদের প্রত্যয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে বিপুল সংখ্যক নারী অংশগ্রহণ করেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, "১৯৪৭ সাল থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গাগুলো কিছু নির্দিষ্ট পকেট গোষ্ঠীর দখলে, যেখানে নারীদের অংশগ্রহণ প্রায় নেই। তারাই ঠিক করেন কারা কোথায় বসবে। এই প্রবণতা নারীর অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করছে।"
তিনি আরও বলেন, "জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর গ্রাম-গঞ্জে নারীদের মাঝে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এটি আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। তবে এই সম্ভাবনাকে টেকসই করতে হলে নারীদের নিরাপত্তা ও আগ্রহ ধরে রাখার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।"
তিনি আরও দাবি করেন, "তরুণ প্রজন্ম ‘তুমি কে, আমি কে’ স্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী ন্যারেটিভকে চ্যালেঞ্জ করেছে।"
নারীদের প্রতি চলমান বৈষম্য এবং সাইবার বুলিংয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু জেলায় এখনো নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ ধরনের আচরণ আমরা মেনে নেব না। নারীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং হলেও সরকার নির্লিপ্ত—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও যদি কোনো নারী হয়রানির শিকার হন, তবে আমাদের সবার সোচ্চার হওয়া উচিত।’
ভিওডি বাংলা/ আরিফ