• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

নির্বাচন আসে যায় কেউ কথা রাখে না

চলনবিল প্রতিনিধি    ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:০১ পি.এম.
গ্রামের কাচা রাস্তায় জনগণের দৃর্ভোগ

নির্বাচন আসলে সবাই আমাদের রাস্তা পাকা করে দেওয়ার কথা বলে,কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে কেউ কথা রাখে না আমাদের রাস্তাটিও আর পাকা হয় না। এভাবেই আক্ষেপ করে কথা গুলো বলছিলেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের  ১নং ওয়ার্ডের চকরসুল্লাহ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুস সালাম। তাড়াশ মহিষলুটি পাকা রাস্তার বাবলা তলা নামক স্থান থেকে চকরসুল্লাহ কবরস্থান এবং কবরস্থান থেকে গ্রামের ভিতর দিয়ে কিসমতের বাড়ি সংলগ্ন পাকা রাস্তা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি গ্রামবাসির চলাচলের অউপযোগী হয়ে পড়েছে। এই রাস্তাটি দিয়ে চকরসুল্লাহ,চকজয়কৃষ্ণপুর ও কালিদাসনীলি তিন গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ চলাচল করে। বৃষ্টির দিনে রাস্তায় বৃষ্টির পানি আর কাদায় একাকার হয়ে পড়ায় গ্রামের মানুয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। পায়ে হেটেও চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার ছোট খাটো বন্যা হলেই রাস্তাটি ডুবে যায়,তখন নৌকা ছাড়া চলাচল করা যায় না।

তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে বিভিন্ন সময় রাস্তাটি মাপা হলেও আদতে বাস্তবায়নের জন্য কোন কার্যক্রম নেই।

রমজান আলী নামের এক কৃষক বলেন, আমাদের এই রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য পরিবহণ করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে এমনকি জমিতে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বেচা বিক্রিতেও আমাদের অনেক লোকসান গুনতে হয়,গ্রামের ভিতর কোন পাইকার আসে না ফলে বাজার দরের চেয়ে কম পক্ষে ৫০ টাকা মণ প্রতি এ সকল উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করতে হয়।

পল্ট্রি খামারি আব্দুর রহিম বলেন,রাস্তাটির উন্নয়ন না হওয়ায় খামারি ব্যবসায় অনেক সয়ম লোকসান গুনতে হয়। মুরগির খাবার পরিবহনে অনেক বেশি খরচ বহন করতে হয় কারণ এই রাস্তায় কোন গাড়ি মুরগির খাদ্য নিয়ে আসতে চায় না, আসলেও বেশি ভাড়া গুনতে হয়। আবার খামারে উৎপাদিত পল্ট্রি মুরগি বিক্রিতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। রাস্তা খারাপের কারণে কোন পাইকার মুরগি কিন্তে চায় না ফলে বাজার দরের চেয়ে কেজিতে ৫-১০ টাকা কমে মুরগি বিক্রি করতে হয়। তাই তেমন একটা বেশি লাভ হয় না।

গ্রামের মৎষ্য চাষি জাহিদুল ইসলাম ও আয়নাল হক বলেন, আশে পাশের প্রায় গ্রামের রাস্তাই পাকা হয়েছে শুধু আমাদের গ্রামের রাস্তাটিই কাঁচা রয়েছে। আর রাস্তাটি কাচার কারণে আমরা যারা মাছ চাষ করি তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাছের পোনা ও মাছের খাদ্য ফিড আনা নেওয়া পরিবহন খরচ অনেক বেশি হয়। খাদ্যর গাড়ি গ্রামের ভিতর না আসায় পাকা রাস্তা থেকে মাছের খাদ্য ফিড লেবার দিয়ে মাথায় করে পুকুরে আনতে হয় ফলে আমাদের পরিবহন খরচ বেরে যায়। আবার পুকুরে উৎপাদিত মাছ বিক্রির সময়ও লেবার দিয়ে বহন করে পাকা রাস্তায় নিয়ে তার পর গাড়িতে করে  বাজারে বিক্রি করতে হয়। ফলে সারা বছর পরিশ্রম করে আমরা কাংক্ষিত লাভ পাই না।

স্কুল কলেজের কয়েক জন শিক্ষার্থী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এই রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে যায় এবং অনেক কাদা হয় আর এই কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে স্কুল কলেজে যাওয়া আশা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে পোশাকে রাস্তার কাদা লেগে পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। আবার বর্ষার সময় ছোট খাটো বর্ষা হলেই রাস্তাটি পানিতে ডুবে যায়,তখন আরো বেশি কষ্ট হয় নৌকা ছাড়া চলাচল করা যায় না। তাই উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট জনস্বার্থে রাস্তাটি পাকা করণের জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফজলুল হক জানান,তাড়াশ-মহিষলুটি পাকা রাস্তার বাবলাতলা থেকে চকরসুল্লাহ কবরস্থান পযর্ন্ত রাস্তার আইডির জন্য প্রস্তাব পাঠনো হবে। আইডি হলেই আমরা রাস্তাটির কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।


ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষ নিহত ১
মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষ নিহত ১
মাদারীপুরে পুরোটাই সিন্ডিকেটের দখলে অ্যাম্বুলেন্স সেবা
মাদারীপুরে পুরোটাই সিন্ডিকেটের দখলে অ্যাম্বুলেন্স সেবা
জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে