শেখ হাসিনার ১৫ ড্রাইভারকে প্লট বরাদ্দ: দুদক


নিজস্ব প্রতিবেদক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়াদকালে শুধু পরিবারের সদস্যদের নয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত গাড়িচালকদের জন্যও রাজধানীর ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পে জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল—এমন তথ্য উঠে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাম্প্রতিক অভিযানে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দপ্তরে অভিযান চালিয়ে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিপত্র জব্দ করেছে দুদকের একটি বিশেষ টিম।
দুদক জানায়, ‘অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি’ কোটায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ১৫ জন ড্রাইভারকে বিশেষ বিবেচনায় প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। জব্দ করা নথিতে যেসব চালকের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন—সাইফুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম লিটন, রাজন মাতবর, মাহবুব হোসেন, শাহীন, মতিউর রহমান, নুর হোসেন ব্যাপারী, বোরহান উদ্দিন, বিল্লা হোসেন, মিজানুর রহমান, বাচ্চু হাওলাদার, নুরুল আলম ও নুরুন্নবী।
দুদক সূত্র জানায়, এই ১৫ জন চালকের মধ্যে দুইজনকে তিন কাঠা করে এবং তিনজনকে পাঁচ কাঠা করে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নথিতে যদিও তাদের "অসামান্য অবদান" কী ছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ নেই।
জানা গেছে, শুধু চালকরাই নয়—উক্ত বরাদ্দের তালিকায় আরও রয়েছেন ৪৫ জন ব্যবসায়ী, ২ জন বাংলাদেশি-ব্রিটিশ নাগরিক, কয়েকজন সাংবাদিক, বিচারপতি এবং অন্যান্য পেশার লোকজনও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি’ কোটার অপব্যবহার করে জমি বরাদ্দের এই ধরনের নজির রাষ্ট্রীয় সম্পদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্ন তোলে।
দুদক বলেছে, এসব বরাদ্দ কীভাবে এবং কার সুপারিশে হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
আগামী ৫-৬ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব
বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য আগামী পাঁচ-ছয়দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে …

জুলাইয়ে আহত-নিহতদের তালিকায় অসঙ্গতি পাওয়া গেছে : ফারুক-ই-আজম
অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, ইতোমধ্যে জুলাইয়ে আহত-নিহতদের …

গভীর সমুদ্র মাছ আহরণের প্রধান আহ্বান উপদেষ্টার
গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণে কার্যক্রম জোরদার করতে এবং মৎস্য ও …
